ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশিদের কিডনি পাচার হচ্ছে ভারতে! ফরিদগঞ্জ দঃ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য ফরম বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত পাটগ্রাম থানায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: চাঁদাবাজি, হামলা, বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার—উত্তপ্ত লালমনিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে ভারতীয় ২ শ’ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, ব্যবসায়ীদেরকে ধরতে পারেনি বিজিবি। জঙ্গি কার্যক্রমে নিয়োজিতরা শ্রম খাতে যুক্ত : মালয়েশিয়ার আইজিপি ফুটবলের উন্নয়নে বাংলাদেশ-তুরস্কের পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস রনি সামাজিকমাধ্যমে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছেন সাধারণ ক্ষমার সীমা নির্ধারণ ও বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো ফরিদগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫১০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

রনি সামাজিকমাধ্যমে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছেন

সাংবাদিক
 সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনির কঠোর সমালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বলেছেন, গোলাম মাওলা রনি এখন টেলিভিশন টকশো ও ইউটিউব ভিডিওগুলোর মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির অন্যতম প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছেন।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘গোলাম মাওলা রনি এখন আমাদের টিভি টকশো ও ইউটিউব ভিডিওগুলোর মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছেন।’

তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি সময় টিভির এক টকশোতে রনি দাবি করেছেন যে, নূর হোসেন-স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি শহীদ-নাকি জনতার হাতে নিহত হয়েছেন!’

জুলাই আন্দোলন কেন অনিবার্য ছিল, চতুর্থ পোস্টার প্রকাশ করল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, চূড়ান্ত হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির খসড়া, চলবে আরও দর-কষাকষি— এসব মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস সচিব লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর জেনারেল এরশাদের নিরাপত্তা বাহিনীই গুলি করে হত্যা করেছিল নূর হোসেনকে। প্রশ্ন হচ্ছে, রনি কি এখন ইতিহাস থেকে এরশাদের অপরাধ মুছে ফেলার দায়িত্ব নিয়েছেন?’

প্রেস সচিব এ সময় টকশো উপস্থাপককেও একহাত নিয়ে বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, সময় টিভির সেই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের কোনো প্রতিবাদও করেননি। যখন আপনি মিথ্যাবাদী ও বিভ্রান্তিকর কণ্ঠকে প্ল্যাটফর্ম দেন, তখন আপনি নিজেও সেই অপরাধের অংশীদার হয়ে ওঠেন।’

শফিকুল আলমের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন, কেউ কেউ আবার মতবিরোধও প্রকাশ করেছেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ‘মব’ না। ‘মব ভায়োলেন্স’ প্রতিরোধে দরকার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, আইনের শাসন, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে মাহফুজ আলম লেখেন, বাংলাদেশে প্রথম ‘মব ভায়োলেন্স’ হয়েছিল বিহারি জনগোষ্ঠীর উপর। তারপরে মব হয়েছে ছাত্র ও তরুণ মুক্তিযোদ্ধা অথচ মুজিববাদবিরোধীদের ওপর। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সরাসরি ইন্ধনে গত ৫৩ বছর মব হইসে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর। মবের ডেফিনিশন স্ট্রেইচ করলে তথাকথিত জনতার আদালত, জনতার মঞ্চ ‘৯৬, ২৮ অক্টোবর, শাহবাগ- সবই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স। সামাজিক ফ্যাসিবাদ যে হাসিনার ১৬ বছরের রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদেরই প্রতিক্রিয়া এবং বিকার, তা না বুঝে সামাজিক ফ্যাসিবাদ ও মব মানসিকতা মোকাবেলা অসম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামোফ্যাসিস্ট বলেই এ সমস্যার সমাধান হবে না। বরং জুলাই যে ক্রস-ইডিওলজি ডায়ালগের সুযোগ তৈরি করেছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে এ সামাজিক ফ্যাসিবাদ দূর করতে হবে। এছাড়া গত ১৬ বছরের গণতন্ত্রহীনতা এবং আইনের শাসনের অবক্ষয় যে মব মানসিকতার জননী, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। কিন্তু, গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক ও সামাজিক ফ্যাসিবাদের অংশীদার না হয়েও হরেদরে মব ভায়োলেন্সের দায় নিতে হচ্ছে জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে। জুলাইয়ের পরে মব হইলে বা সে সুযোগ তৈরি করা হইলে এত সুশীলতা আর এপলজেটিক আলাপ আসত না। রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে আমাদের কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। সে জন্য মব ভায়োলেন্স নিয়ে কয়েকবার বলেছি। স্পেসিফিক কিছু অকেশনে। মাজারে হামলা নিয়ে, বইমেলা নিয়ে কথা বলেছি।’

তথ্য উপদেষ্টার দাবি, উদ্বেগের বিষয় হল, জুলাই বিপ্লবকে এখন মুজিববাদী বাম এবং লীগের কালচারাল গুন্ডারা জুলাই পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সাথে মিলিয়ে এমনভাবে পোট্রে করছে, যেন জুলাই বিপ্লব শেখ মুজিবের নাতি জয়ের কথামত মবোক্রেসি ছিল। মবোক্রেসি হইলে জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা পুলিশ-আনসারবিহীন দেশকে এক-দেড় মাস নিরাপদ রাখত না।

তিনি বলেন, ‘সাজানো স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ওবায়দুল কাদেরকেও ছাত্র-জনতা বাঁচিয়ে দিয়েছিল। এ স্ক্রিপ্ট বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে স্ক্রিপ্টরাইটাররা ভেবেছেন এজন্যই যে, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা প্রতিশোধপরায়ন ছিল না। জুলাই বিপ্লবে দেশকে আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে মব বলে জুলাইকে বিষোদগার করা বন্ধ করুন।’

আইনের ব্যত্যয় ঘটলে, সাম্প্রদায়িক কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটলে আইনের আশ্রয় নিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জুলাই বিপ্লবের পক্ষের ছাত্র-জনতাকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কিন্তু, মুজিববাদ ও আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আপনাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আমরা কারবালা পার হইতে পারিনি, এটাই সত্য। জুলাই ও লড়াই সমার্থক।

শেষে মাহফুজ আলম বলেন, মব মানে বিপ্লবী উদ্দেশ্যহীন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা লালন করা সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী। জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্য পরিষ্কার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা অতুল এবং তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৯:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
৫০৮ Time View

রনি সামাজিকমাধ্যমে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছেন

আপডেটের সময় : ০৯:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
 সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনির কঠোর সমালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বলেছেন, গোলাম মাওলা রনি এখন টেলিভিশন টকশো ও ইউটিউব ভিডিওগুলোর মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির অন্যতম প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছেন।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘গোলাম মাওলা রনি এখন আমাদের টিভি টকশো ও ইউটিউব ভিডিওগুলোর মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছেন।’

তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি সময় টিভির এক টকশোতে রনি দাবি করেছেন যে, নূর হোসেন-স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি শহীদ-নাকি জনতার হাতে নিহত হয়েছেন!’

জুলাই আন্দোলন কেন অনিবার্য ছিল, চতুর্থ পোস্টার প্রকাশ করল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, চূড়ান্ত হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির খসড়া, চলবে আরও দর-কষাকষি— এসব মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস সচিব লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর জেনারেল এরশাদের নিরাপত্তা বাহিনীই গুলি করে হত্যা করেছিল নূর হোসেনকে। প্রশ্ন হচ্ছে, রনি কি এখন ইতিহাস থেকে এরশাদের অপরাধ মুছে ফেলার দায়িত্ব নিয়েছেন?’

প্রেস সচিব এ সময় টকশো উপস্থাপককেও একহাত নিয়ে বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, সময় টিভির সেই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের কোনো প্রতিবাদও করেননি। যখন আপনি মিথ্যাবাদী ও বিভ্রান্তিকর কণ্ঠকে প্ল্যাটফর্ম দেন, তখন আপনি নিজেও সেই অপরাধের অংশীদার হয়ে ওঠেন।’

শফিকুল আলমের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন, কেউ কেউ আবার মতবিরোধও প্রকাশ করেছেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ‘মব’ না। ‘মব ভায়োলেন্স’ প্রতিরোধে দরকার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, আইনের শাসন, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে মাহফুজ আলম লেখেন, বাংলাদেশে প্রথম ‘মব ভায়োলেন্স’ হয়েছিল বিহারি জনগোষ্ঠীর উপর। তারপরে মব হয়েছে ছাত্র ও তরুণ মুক্তিযোদ্ধা অথচ মুজিববাদবিরোধীদের ওপর। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সরাসরি ইন্ধনে গত ৫৩ বছর মব হইসে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর। মবের ডেফিনিশন স্ট্রেইচ করলে তথাকথিত জনতার আদালত, জনতার মঞ্চ ‘৯৬, ২৮ অক্টোবর, শাহবাগ- সবই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স। সামাজিক ফ্যাসিবাদ যে হাসিনার ১৬ বছরের রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদেরই প্রতিক্রিয়া এবং বিকার, তা না বুঝে সামাজিক ফ্যাসিবাদ ও মব মানসিকতা মোকাবেলা অসম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামোফ্যাসিস্ট বলেই এ সমস্যার সমাধান হবে না। বরং জুলাই যে ক্রস-ইডিওলজি ডায়ালগের সুযোগ তৈরি করেছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে এ সামাজিক ফ্যাসিবাদ দূর করতে হবে। এছাড়া গত ১৬ বছরের গণতন্ত্রহীনতা এবং আইনের শাসনের অবক্ষয় যে মব মানসিকতার জননী, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। কিন্তু, গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক ও সামাজিক ফ্যাসিবাদের অংশীদার না হয়েও হরেদরে মব ভায়োলেন্সের দায় নিতে হচ্ছে জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে। জুলাইয়ের পরে মব হইলে বা সে সুযোগ তৈরি করা হইলে এত সুশীলতা আর এপলজেটিক আলাপ আসত না। রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে আমাদের কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। সে জন্য মব ভায়োলেন্স নিয়ে কয়েকবার বলেছি। স্পেসিফিক কিছু অকেশনে। মাজারে হামলা নিয়ে, বইমেলা নিয়ে কথা বলেছি।’

তথ্য উপদেষ্টার দাবি, উদ্বেগের বিষয় হল, জুলাই বিপ্লবকে এখন মুজিববাদী বাম এবং লীগের কালচারাল গুন্ডারা জুলাই পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সাথে মিলিয়ে এমনভাবে পোট্রে করছে, যেন জুলাই বিপ্লব শেখ মুজিবের নাতি জয়ের কথামত মবোক্রেসি ছিল। মবোক্রেসি হইলে জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা পুলিশ-আনসারবিহীন দেশকে এক-দেড় মাস নিরাপদ রাখত না।

তিনি বলেন, ‘সাজানো স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ওবায়দুল কাদেরকেও ছাত্র-জনতা বাঁচিয়ে দিয়েছিল। এ স্ক্রিপ্ট বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে স্ক্রিপ্টরাইটাররা ভেবেছেন এজন্যই যে, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা প্রতিশোধপরায়ন ছিল না। জুলাই বিপ্লবে দেশকে আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে মব বলে জুলাইকে বিষোদগার করা বন্ধ করুন।’

আইনের ব্যত্যয় ঘটলে, সাম্প্রদায়িক কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটলে আইনের আশ্রয় নিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জুলাই বিপ্লবের পক্ষের ছাত্র-জনতাকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কিন্তু, মুজিববাদ ও আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আপনাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আমরা কারবালা পার হইতে পারিনি, এটাই সত্য। জুলাই ও লড়াই সমার্থক।

শেষে মাহফুজ আলম বলেন, মব মানে বিপ্লবী উদ্দেশ্যহীন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা লালন করা সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী। জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্য পরিষ্কার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা অতুল এবং তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত।