প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২২ আগস্ট ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী ও বংশাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় নকল, অনুমোদনহীন ও অবৈধ বিদেশী ঔষধ মজুদ এবং বিক্রি করার অপরাধে তপু এন্ড ব্রাদার্স’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, সামিয়া এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, নিপা সার্জিক্যাল মার্ট’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, আই.আর এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ন্যাশনাল সার্জিক্যাল এন্ড সাপ্লাইয়ার্স’কে নগদ- ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, মুন নাইট মেডিসিন এন্ড সার্জিক্যাল’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, মুনলাইট সার্জিক্যাল’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, আমিন ড্রাগ স্টোর’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, টুমপা ড্রাগ’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, জি.এস সার্জিক্যাল সেন্টার’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ভাই ভাই সার্জিক্যাল মার্ট’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, আদ্ব দোহা সার্জিক্যাল’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ডি-৩ এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, অনন্ত মেডিক্যাল হল’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, নূর সার্জিক্যাল’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, ইউনুস মেডিসিন সেন্টার নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, এমএস আরাফাত সার্জিক্যাল মার্ট’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, শাকিব মেডিসিন’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, এসএস এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, মা মনি সার্জিক্যাল’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ও ঋতু সার্জিক্যাল’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা করে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৪২,৯০,০০০/- (বিয়াল্লিশ লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা মূল্যের নকল, অনুমোদনহীন ও অবৈধ বিদেশী ঔষধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল, অনুমোদনহীন ও অবৈধ দেশী-বিদেশী ঔষধ মজুদ এবং বিক্রি করে আসছিল বলে জানা যায়।