জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২৭ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ কামরুজ্জামান রাসেল বিপিএম-র সাথে শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর একটায় শেরপুর জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
এ সময় এসপি কামরুজ্জামান রাসেল শেরপুর জেলা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির (আই আই টি) ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তারেকুল ইসলাম তারেক জানান, “মোঃ কামরুজ্জামান রাসেল ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী মুখ। কর্মজীবনেও তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তিনি পুলিশে কর্মরত থেকে যেসব কাজ করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির পর তিনি জনহিতকর যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেজন্য ইতোমধ্যে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি আমাদের জন্য একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।”
প্রসঙ্গত, দিনাজপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া এই কৃতি জাবিয়ান বাংলাদেশ পুলিশের ২৫ তম বিসিএস ক্যাডারের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শেরপুরে যোগদানের আগে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ এবং মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল (এআইজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শেরপুরে যোগদানের পরই (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান রাসেল। গতানুগতিকতার উর্ধ্বে গিয়ে উক্ত মতবিনিময় সভায় সরকারের ভিশন-মিশন বাস্তবায়নে পুলিশের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার সহায়ক হিসেবে ‘১০০ দিনের পরিকল্পনা’-র কথা জানান তিনি। ১০০ দিনের সেই পরিকল্পনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টিকারী অপরাধ দমন, স্পেশাল রেসপন্স টিম (এসআরটি) গঠন, টক টু এসপি সেবা (হট লাইন) চালুকরণ, আপনার এসপি আপনার কাছে কার্যক্রম চালুকরণ, মাসিক পুলিশ বুলেটিন চালু ও মামলা তদন্তে বিশেষ টিম গঠন- এই ৭টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ইতোমধ্যে এর সুফল ভোগ করায় জেলার সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।