Friday , 3 May 2024
শিরোনাম

শ্রম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি ড. ইউনূসের

‘শ্রম আইন লঙ্ঘন করেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

শ্রম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালত চত্বরে যান তিনি। তৃতীয় শ্রম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার এজলাস কক্ষে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। এরপর আদালতের এজলাস কক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান কাঠগড়ায় দাঁড়ান।

পরে ১টা ১৬ মিনিটে শারীরিক অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক ৪ বিবাদীকেই কক্ষের ভেতরে বেঞ্চে বসে শুনানি কার্যক্রমে অংশ নেয়ার অনুমতি দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত বক্তব্য পড়েন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

৩৪২ ধারায় ড. ইউনূসসহ ৪ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জবানবন্দীতে বলা হয়, শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় সরকার অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি কোন ভাবেই ফৌজদারি অপরাধ না।

দেশের উন্নয়নে ড. ইউনূসের ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেখান যিনি দেশের জন্য এত কাজ করেছেন। এতগুলো বিদেশি ব্র্যান্ড কোম্পানিকে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে এনেছেন। এত এত মানবসম্পদ তৈরি করেছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা কোন কিছুই তিনি নিজের কোন আর্থিক লাভের জন্য করেননি। এ ধরনের অসংখ্য অবদান রাখার পরও এই নিঃস্বার্থ মানুষটিকে মিথ্যা অপরাধে দাঁড়াতে হচ্ছে বিচারের কাঠগড়ায়।

নথি থেকে জানা গেছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বাদী হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। এতে ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইন ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

Check Also

হাইকোর্টের নির্দেশে অসন্তোষ, আপিল করবেন শিক্ষামন্ত্রী

দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x