Monday , 20 May 2024
শিরোনাম

সিরাজদিখানে চরাঞ্চলের ফসলী জমির মাটি দিনের পরিবর্তে রাতে কাটার মহোৎসব” অসহায় এলাকাবাসী, প্রশাসন নিরব! 

সিরাজদিখানে চরাঞ্চলের ফসলী জমির মাটি দিনের পরিবর্তে রাতে কাটার মহোৎসব” অসহায় এলাকাবাসী, প্রশাসন নিরব!

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আইন ও প্রশাসনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে তিন ফসলী জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে শান্ত ও মিজান নামে দুই ব্যক্তির ৪-৫ সদস্যের বেপরোয়া সিন্ডিকেট। তিন  ফসলী জমির মাটিকাটা বন্ধে প্রশাসনের জোর তৎপরতা থাকা স্বত্বেও তাদের চোখে ধুলো দিয়ে ওই সিন্ডিকেটের লোকজন ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে দিনের পরিবর্তে রাত মাটি কেটে রাতেই বিভিন্ন ইট ভাটায় নির্বিঘ্নে বিক্র যাচ্ছে। ফসলী জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে বিক্রির কারণে  ক্ষতির সম্মূক্ষিন হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ থাকার পরও থেমে নেই সিন্ডিকেট গুলোর মাটি কাটার অবৈধ কর্মযজ্ঞ। সম্প্রতি ফসলী জমি রক্ষায় স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সুশীল সমাজের লোকজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণার পাশাপাশি জেলা প্রশাসক,  ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এর পরও তারা মাটি কাটার কৌশল পরিবর্তন তথা দিনের পরিবর্তে রাতে মাটি কেটে ফসলী জমির মাঠ উজাড় করে চলেছে বেশ জোড়ালো ভাবেই। এতে কেউই তাদের ধরাশায়ী করতে পারছেন না। স্থানীয়রা মাটি কাটা বন্ধে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চল তথা বাসাইল ও লতব্দী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বাসাইল ও লতব্দীর চকে অবস্থিত অর্ধ শতাধিক তিন ফসলী জমি নাম মাত্র মূল্যে কিনে নিয়ে সেসব জমির মাটি কেটে প্রায় মাসাধিক কালেরও   অধিক সময় ধরে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর এ অবৈধ মাটি কাটার সিন্ডিকেটের  নেতৃত্ব দিচ্ছে রামকৃষ্ণদী গ্রামের মিজান ও শান্ত নামে এক স্কুল শিক্ষকসহ আরো বেশ কয়েকজন।  ওই এলাকার  কৃষকরা না চাইলেও জোরপৃর্বক বায়না পত্রের মাধ্যমে তাদের জমি কিনে নিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে চলেটে সিন্ডিকেটগুলো। ফসলী জমির মাটি পরিবহনের কারণে ওই এলাকার  কৃষি জমিসমূহ ভাঙন ও জমিতে  ফসল উৎপাদন করতে না পেরে অনেকটাই নির্বিকার হয়ে পরেছে স্থানীয় অর্ধশতাধিক কৃষক। স্থানীয় একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমির মাটি কিনে নিয়ে কেটে বিক্রি করছেন। ফসলী জমির মাটি কাটার কারণে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো ভাঙন হুমকির সম্মূক্ষিন ও জমির পাশ দিয়ে মাটি পরিবহনের কারণে তাদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষয় ক্ষতি হলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বাসাইল ও লতব্দী  ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক থেকে দেড় শতাধীক জমির মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানেও থেমে নেই অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ। ফলে এলাকার কৃষি পন্য উৎপাদন ব্যহত হওয়াসহ কৃষি জমির সংখ্যা দিন দিন  উল্লেখ যোগ্য হাড়ে কমতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনেকটা জোড় জুলুম করেই কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। তিন ফসলী জমির মাটি কাটা সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা মিজান মাটি কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগে চালাইতাম এখন প্রায় দেড় মাস ধরে আমার মাটির কাইট বন্ধ আছে। অপর হোতা মোঃ শান্ত বলেন, আপনারা ভাই ব্রাদার মানুষ।  কি লাগবে চাইবেন দিবো। লেখালেখির কি দরকার! এ বলে তিনি সাংবাদিকদের চায়ের নিমন্ত্রণ করেন।

সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার জানান, আমি ঔসব এলাকায় ২ বার মোবাইল কোর্ট করেছ। যদি আবার কেও অভিযোগ করে আমি মোবাইল কোর্ট করব।

Check Also

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন। সঙ্গে তার সফরসঙ্গীরাও। তাদের মধ্যে আর কেউ বেঁচে নেই। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x