ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মরক্কোতে কেন পশু কোরবানি না দেওয়ার নির্দেশ দিল সরকার ভারতকে আলোচনার টেবিলে বসাতে ট্রাম্পই উপযুক্ত বলছে পাকিস্তান পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, গাজায় মৃত্যুর মিছিল ও দুর্ভিক্ষ অব্যাহত ঈদে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত : নির্বাচন কমিশন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যা, তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ড. ইউনূস ব্রিটিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

১০ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমেছে

সাংবাদিক

আগের কয়েক মাসের নিম্নমুখী ধারা বজায় রেখে চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি যেমন কমেছে, তেমনি বিদেশি লেনদেন হিসাবের ভারসাম্যেও (বিওপি) উন্নতি হয়েছে।

এসময়ে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছিল ১৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

দুই ঈদ উপলক্ষে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ায় বিদেশি লেনদেন হিসাবের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আমদানির তুলনায় রপ্তানি বাড়ার হার বেশি হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতির চিত্রও ভালো হচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৩৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

আবার চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছর একই সময় এ পরিমাণ ছিল ৫২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

চলতি হিসাব

বাণিজ্য ঘাটতির মত চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বিদেশি লেনদেন ভারসাম্যেও ঘাটতি কমে উন্নতি হয়েছে।

এসময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয়েছে ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ৬ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার।

কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তবে ঘাটতি থাকলে তা মেটাতে ঋণ নিতে হয়।

আর্থিক হিসাব

আর্থিক হিসাবও এ সময়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত আর্থিক হিসাব দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

আর্থিক হিসাব করা হয় প্রবাসী আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্টের পরিসংখ্যানগুলোর যোগ বিয়োগ করে।

বিদেশি বিনিয়োগ

বাণিজ্য ঘাটতিসহ অন্যান্য সূচক ইতিবাচক থাকলেও এসময়ে বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য সুখবর দিতে পারেনি। এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৯১ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
৫২০ Time View

১০ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমেছে

আপডেটের সময় : ০৪:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আগের কয়েক মাসের নিম্নমুখী ধারা বজায় রেখে চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি যেমন কমেছে, তেমনি বিদেশি লেনদেন হিসাবের ভারসাম্যেও (বিওপি) উন্নতি হয়েছে।

এসময়ে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছিল ১৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

দুই ঈদ উপলক্ষে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ায় বিদেশি লেনদেন হিসাবের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আমদানির তুলনায় রপ্তানি বাড়ার হার বেশি হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতির চিত্রও ভালো হচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৩৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

আবার চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছর একই সময় এ পরিমাণ ছিল ৫২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

চলতি হিসাব

বাণিজ্য ঘাটতির মত চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বিদেশি লেনদেন ভারসাম্যেও ঘাটতি কমে উন্নতি হয়েছে।

এসময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয়েছে ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ৬ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার।

কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তবে ঘাটতি থাকলে তা মেটাতে ঋণ নিতে হয়।

আর্থিক হিসাব

আর্থিক হিসাবও এ সময়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত আর্থিক হিসাব দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

আর্থিক হিসাব করা হয় প্রবাসী আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্টের পরিসংখ্যানগুলোর যোগ বিয়োগ করে।

বিদেশি বিনিয়োগ

বাণিজ্য ঘাটতিসহ অন্যান্য সূচক ইতিবাচক থাকলেও এসময়ে বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য সুখবর দিতে পারেনি। এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৯১ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।