ঢাকা , শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার চিন্তা করছে সরকার জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের রাতভর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার তিনজন রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ন্যায়বিচার সবার জন্য, তবু গ্রামীণ দরিদ্ররা এখনো বঞ্চিত বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক ডিজিটাল কোর্ট ও অনলাইন বিচার: স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত না নতুন সংকট? কাপ্তাইয়ে পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৮ ফিলিস্তিনি হজরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া মাজারের সাজ্জাদানশীন চট্টগ্রাম সফর: শাহ আমানত খানের (রহ.) মাজার জিয়ারত

১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

সাংবাদিক
শুরুর ধসের পর ফাহিম আশরাফের ঝোড়ো ফিফটি ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এরপর আহমাদ দানিয়ালও ভয় দেখালেন কিছুটা। তবে শেষমেশ সব ভয়কে জয় করল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ১২৫ রানে অলআউট করে ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নিল। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল লিটন দাসের দল।

পাকিস্তানের ইনিংস শুরু হয় বিপর্যয় দিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানআউট হন ওপেনার সাইম আইয়ুব। এরপর একে একে ফিরতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস, ফখর জামান, হাসান নেওয়াজ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপরও বিপর্যয় থামেনি। আগা সালমান ও খুশদিল শাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। খুশদিলের জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে না পারা, এবং মেহেদী হাসানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে এলবিডব্লু হয়ে যাওয়া দলটির জন্য ছিল বড় ধাক্কা। ৪৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা।

তবে ফাহিম আশরাফ একাই প্রতিরোধ গড়েন।  রিশাদ হোসেনের এক ওভারে ২০ রান নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সফরকারীরা। ১৭তম ওভারে শরীফুল ফিরিয়ে দেন আব্বাস আফ্রিদিকে। সেই ওভারে তানজিম একটি ক্যাচ ফেলে দিলে বেঁচে যান ফাহিম।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৮ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। রিশাদের করা ১৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে নেয় ফাহিম ও দানিয়াল। তবে ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে দেন রিশাদ। ততক্ষণে ৪৫ রান করে ফেলেছেন ফাহিম।

শেষ ওভারে মোস্তাফিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান, বাংলাদেশের দরকার ১ উইকেট। প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান দানিয়াল। তবে পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পাকিস্তান থেমে যায় ১২৫ রানে, বাংলাদেশ জেতে ৮ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ রানে ফিরেন নাঈম শেখ। এরপর লিটন, হৃদয় ও পারভেজও খুব দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। পাওয়ার প্লেতেই বাংলাদেশের রান হয় মাত্র ২৯, ততক্ষণে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দল।

এরপর জাকের আলী আর মেহেদী হাসান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৩ রান, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ রান করে ছক্কা মারার পরের বলেই আউট হয়ে যান।

তবে জাকের আলী একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। শামীম, তানজিম, রিশাদ ফিরলেও তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান। শেষ ওভারে দুটি ছক্কা মারেন আব্বাস আফ্রিদির বলে। ছক্কা মেরেই তিনি পৌঁছান নিজের ফিফটিতে। শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ৫৫ রান করে।

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১৩৩ রানে। পুরো ইনিংসে কেবল জাকের ছাড়া কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে বোলারদের কল্যাণে সে পুঁজিটা ভালোভাবেই সামলেছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জয় করে ফেলেছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
৮১৯ Time View

১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

আপডেটের সময় : ০৪:০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
শুরুর ধসের পর ফাহিম আশরাফের ঝোড়ো ফিফটি ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এরপর আহমাদ দানিয়ালও ভয় দেখালেন কিছুটা। তবে শেষমেশ সব ভয়কে জয় করল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ১২৫ রানে অলআউট করে ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নিল। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল লিটন দাসের দল।

পাকিস্তানের ইনিংস শুরু হয় বিপর্যয় দিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানআউট হন ওপেনার সাইম আইয়ুব। এরপর একে একে ফিরতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস, ফখর জামান, হাসান নেওয়াজ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপরও বিপর্যয় থামেনি। আগা সালমান ও খুশদিল শাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। খুশদিলের জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে না পারা, এবং মেহেদী হাসানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে এলবিডব্লু হয়ে যাওয়া দলটির জন্য ছিল বড় ধাক্কা। ৪৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা।

তবে ফাহিম আশরাফ একাই প্রতিরোধ গড়েন।  রিশাদ হোসেনের এক ওভারে ২০ রান নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সফরকারীরা। ১৭তম ওভারে শরীফুল ফিরিয়ে দেন আব্বাস আফ্রিদিকে। সেই ওভারে তানজিম একটি ক্যাচ ফেলে দিলে বেঁচে যান ফাহিম।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৮ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। রিশাদের করা ১৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে নেয় ফাহিম ও দানিয়াল। তবে ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে দেন রিশাদ। ততক্ষণে ৪৫ রান করে ফেলেছেন ফাহিম।

শেষ ওভারে মোস্তাফিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান, বাংলাদেশের দরকার ১ উইকেট। প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান দানিয়াল। তবে পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পাকিস্তান থেমে যায় ১২৫ রানে, বাংলাদেশ জেতে ৮ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ রানে ফিরেন নাঈম শেখ। এরপর লিটন, হৃদয় ও পারভেজও খুব দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। পাওয়ার প্লেতেই বাংলাদেশের রান হয় মাত্র ২৯, ততক্ষণে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দল।

এরপর জাকের আলী আর মেহেদী হাসান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৩ রান, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ রান করে ছক্কা মারার পরের বলেই আউট হয়ে যান।

তবে জাকের আলী একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। শামীম, তানজিম, রিশাদ ফিরলেও তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান। শেষ ওভারে দুটি ছক্কা মারেন আব্বাস আফ্রিদির বলে। ছক্কা মেরেই তিনি পৌঁছান নিজের ফিফটিতে। শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ৫৫ রান করে।

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১৩৩ রানে। পুরো ইনিংসে কেবল জাকের ছাড়া কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে বোলারদের কল্যাণে সে পুঁজিটা ভালোভাবেই সামলেছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জয় করে ফেলেছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই।