ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২ জুন বিএনপিকে আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের

সাংবাদিক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আলোচনার অংশ হিসেবে বিএনপিকে ২ জুন বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীতে কৃষকদলের এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “আলোচনার জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা ঠিকই আছে, কিন্তু বাস্তব অগ্রগতি নেই। জনগণ স্পষ্টভাবে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। এর পর নির্বাচন দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক কৌশলে জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে।”

এর আগে ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি এবং অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় বিএনপির সঙ্গে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, “আমরা স্পষ্ট করেছি যে, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের রূপরেখা দেবে। ভবিষ্যতে যদি আমরা ক্ষমতায় যাই, আমরা সেই সংস্কার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেব।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
৫১৮ Time View

২ জুন বিএনপিকে আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের

আপডেটের সময় : ১২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আলোচনার অংশ হিসেবে বিএনপিকে ২ জুন বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীতে কৃষকদলের এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “আলোচনার জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা ঠিকই আছে, কিন্তু বাস্তব অগ্রগতি নেই। জনগণ স্পষ্টভাবে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। এর পর নির্বাচন দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক কৌশলে জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে।”

এর আগে ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি এবং অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় বিএনপির সঙ্গে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, “আমরা স্পষ্ট করেছি যে, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের রূপরেখা দেবে। ভবিষ্যতে যদি আমরা ক্ষমতায় যাই, আমরা সেই সংস্কার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেব।”