মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম-রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
ছোটবেলা থেকে মাইজ ভান্ডারী ত্বরিকার প্রতি ঝাঁক ছিল আজাদ শাহ্। আধ্যাত্বিক জগত নিয়ে বিচরণ ছিল তাঁর নেশা। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ ছিল। আধ্যাত্মিক, ভান্ডারী ,মরমী গান তাঁর পছন্দের। লেখাপড়ার গন্ডি বেশি দূর পার না হলও ধর্মীয় গান লেখার চর্চা শুরু করেন ২০ বছর বয়স থেকেই। ২৭ বছর বয়সী এই আজাদ শাহ্ প্রায় ৩০০ টি গান লিখে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। দেশের অনেক নামকরা শিল্পী তাঁর গান গেয়েছেন। ইতিমধ্যে বিটিভি ও এটিএন বাংলায় তাঁর লেখা গান প্রচারিত হয়েছে। অনেক গান ইউটিউবে হাজার হাজার “ভিউয়ার” হয়। তাঁর লেখার মধ্য রয়েছে আধ্যাত্মিক , ভান্ডারি, আঞ্চলিক ও বিচ্ছেদ গান। উল্ল্যেখযোগ্য গানের মধ্যে “পূর্ণিমার চাঁদ এসেছে, তোমার নামে দিলাম পাড়ি, মুর্শিদ আমার জানের জান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালির জাকিরাবাদ গ্রামের বাড়িতে নবীন গীতিকার আজাদ শাহ্ সাথে কথা হয়।
তিনি বলন, শুধু গান নয় তাঁর লেখা ৪০ টির ওপর কবিতা চট্টগ্রামর বিভিন আঞ্চলিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা, সিলট, রংপুরর বিখ্যাত শিল্পীরা তাঁর গান গেয়েছেন । তিনি মাইজভান্ডারী, মোহসেন আউলিয়া, দরবারে আজিজিয়া, বাচা বাবা, মুজিব বাবা, হামিদ উল্লাহ শাহ্, খলিলুর রহমান শাহ, ওমর আলী শাহ আমির ভান্ডারসহ অনেক আউলিয়াদের শানে গান লিখেছেন।
এছাড়া আধ্যাত্বিক আঞ্চলিক গানও লিখে জনপ্রিয়তা পান তিনি। এছাড়া লিখেছেন হামদ ও নাত।
আজাদ শাহ বলেন, গান ও কবিতা লখা আমার শখ। গান ও কবিতা লেখা এখনা চর্চা করছি। দেশের প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় গানের গীতিকারদের ফলো করছি। ”
তাঁর আশা তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত গীতিকার হবেন। ভবিষ্যতে ভালো করতে তিনি সকলের নিকট দোয়া চান।
তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সাহিত্যিক পরিষদের সহ-সভাপতি ও দরবারে আজিজিয়ার কেন্দ্রী কমিটির অর্থ সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া শাখার সভাপতি