ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদা না দিলে ভাঙচুর, যাত্রাবাড়ীতে গেলেই হামলা শরীয়তপুরের বাসে

সাংবাদিক

যাত্রাবাড়ীতে চাঁদা না দেওয়ায় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের বাসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, যুবদলের এক নেতা এককালীন ৫ কোটি টাকা বা প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।

চাঁদা না দেওয়ায় গত দুই দিনে যাত্রাবাড়ী স্ট্যান্ডে গেলেই বাস ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে মুখ খুলতে পারছেন না বাস মালিক, শ্রমিক, এমনকি শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও।

ভয়ে বন্ধ রয়েছে শরীয়তপুর থেকে ঢাকার অন্যতম রুট যাত্রাবাড়ী গমন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

ফেসবুক জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে শরীয়তপুরের মানুষজনের মাঝে।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির।

তিনি লিখেছেন— যাত্রাবাড়ীতে যুবদলের এক নেতা শরীয়তপুরের সকল বাস থেকে চাঁদা চেয়েছে। এককালীন ৫ কোটি, নয়তো প্রতিমাসে ১০ লাখ। দু’দিন ধরে কোনো বাস যাত্রাবাড়ী যেতে পারছে না, সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে আসতেও পারছে না। চরম ভোগান্তিতে শরীয়তপুরের মানুষেরা। সরকার প্রশাসনের চেয়ে কি চাঁদাবাজরা বেশি শক্তিশালী? সরকারের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে জনতার চেয়ে কিন্তু শক্তিশালী নয়; ঢাকাস্থ শরীয়তপুরের সকল মানুষ যাত্রাবাড়ী জড়ো হলে এবং শরীয়তপুরের সকল মানুষ যাত্রাবাড়ী আসলে কেমন হবে? আর শরীয়তপুরের মানুষ কিন্তু খালি হাতে জড়ো হবে না।

এমনিই বললাম পরিস্থিতি যদি ঐদিকেই নিয়ে যায় তাইলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। ’

স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে ফাহিম নামে এক যুবদল নেতার ছবিসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানান। তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বাসে হামলার অভিযোগও ওঠে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বাস শ্রমিক জানান, যাত্রাবাড়ীতে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের বাসগুলোতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে ওই যুবদল নেতার লোকজন। এতে গত দুই দিনে সাতটি বাস ভাঙচুর হয় এবং আহত হন কয়েকজন বাসচালক ও সহকারী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাস মালিক বলেন, চাঁদাবাজদের ভয়ে যাত্রাবাড়ীতে বাস পাঠাতে পারছি না। তারা প্রভাবশালী, নাম বললে আমাদের ক্ষতি হতে পারে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভুক্তভোগীরা যাতে আইনগত সহায়তা পায় এবং শরীয়তপুরের বাস যাতে নির্বিঘ্নে যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ওয়ারী) জানানো হয়েছে।

সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
৫২১ Time View

চাঁদা না দিলে ভাঙচুর, যাত্রাবাড়ীতে গেলেই হামলা শরীয়তপুরের বাসে

আপডেটের সময় : ০৪:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

যাত্রাবাড়ীতে চাঁদা না দেওয়ায় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের বাসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, যুবদলের এক নেতা এককালীন ৫ কোটি টাকা বা প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।

চাঁদা না দেওয়ায় গত দুই দিনে যাত্রাবাড়ী স্ট্যান্ডে গেলেই বাস ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে মুখ খুলতে পারছেন না বাস মালিক, শ্রমিক, এমনকি শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও।

ভয়ে বন্ধ রয়েছে শরীয়তপুর থেকে ঢাকার অন্যতম রুট যাত্রাবাড়ী গমন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

ফেসবুক জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে শরীয়তপুরের মানুষজনের মাঝে।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির।

তিনি লিখেছেন— যাত্রাবাড়ীতে যুবদলের এক নেতা শরীয়তপুরের সকল বাস থেকে চাঁদা চেয়েছে। এককালীন ৫ কোটি, নয়তো প্রতিমাসে ১০ লাখ। দু’দিন ধরে কোনো বাস যাত্রাবাড়ী যেতে পারছে না, সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে আসতেও পারছে না। চরম ভোগান্তিতে শরীয়তপুরের মানুষেরা। সরকার প্রশাসনের চেয়ে কি চাঁদাবাজরা বেশি শক্তিশালী? সরকারের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে জনতার চেয়ে কিন্তু শক্তিশালী নয়; ঢাকাস্থ শরীয়তপুরের সকল মানুষ যাত্রাবাড়ী জড়ো হলে এবং শরীয়তপুরের সকল মানুষ যাত্রাবাড়ী আসলে কেমন হবে? আর শরীয়তপুরের মানুষ কিন্তু খালি হাতে জড়ো হবে না।

এমনিই বললাম পরিস্থিতি যদি ঐদিকেই নিয়ে যায় তাইলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। ’

স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে ফাহিম নামে এক যুবদল নেতার ছবিসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানান। তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বাসে হামলার অভিযোগও ওঠে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বাস শ্রমিক জানান, যাত্রাবাড়ীতে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের বাসগুলোতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে ওই যুবদল নেতার লোকজন। এতে গত দুই দিনে সাতটি বাস ভাঙচুর হয় এবং আহত হন কয়েকজন বাসচালক ও সহকারী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাস মালিক বলেন, চাঁদাবাজদের ভয়ে যাত্রাবাড়ীতে বাস পাঠাতে পারছি না। তারা প্রভাবশালী, নাম বললে আমাদের ক্ষতি হতে পারে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভুক্তভোগীরা যাতে আইনগত সহায়তা পায় এবং শরীয়তপুরের বাস যাতে নির্বিঘ্নে যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ওয়ারী) জানানো হয়েছে।

সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪