ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ: ডা. জাহিদ বহির্বিশ্বেও ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা, পাবেন বিশেষ নিরাপত্তা শরীয়তপুরের প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন রওনক জাহান দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত মানিকগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি- হাসিনার সঙ্গে রেহানা ও টিউলিপের কারাদণ্ড রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদার রোগ মুক্তি কামনায়দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শারিরীকভাবে অসুস্থ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায় প্রবাসী নোয়াখালী জেলা বিএনপি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএনও প্রদিপ্ত রায় দীপনের আকস্মিক পরিদর্শন

বিমানবন্দরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ

সাংবাদিক

 

রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কারিগরিভাবে বৈধ হলেও এটি কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ এলাকায় গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করে।

‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিআইপি জানায়, প্রতিষ্ঠানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ার মধ্যে পড়েছে। তাই এখান থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া উচিত।

প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রানওয়ের পর ৫০০ ফুট এলাকায় কোনো স্থাপনা করা যায় না। এরপর ১৩ হাজার ফুটের একটি অংশ অ্যাপ্রোচ এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত, যেখানে ১৫০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার স্থাপনা অনুমোদনযোগ্য হলেও সেখানে কী ধরনের ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে সরকারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর সাধারণত শহর থেকে দূরে থাকে। কিন্তু ঢাকায় এখন রানওয়ের চারপাশে ঘনবসতি, আবাসিক এলাকা, এমনকি স্কুল-কলেজ রয়েছে। এটি কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা সরিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানি হবে। যেসব ভবনের অনুমোদন নেই বা অনুমোদন ব্যত্যয় হয়েছে, তা ভেঙে ফেলা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৫ সালের ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) অনুযায়ী মাইলস্টোন এলাকার জায়গাটি ছিল জলাশয়। সেটি ভরাট করতে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো, রাজউক কেন ভরাট করতে দিল? যারা অনুমোদন দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের দায় আছে।’

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘মাইলস্টোন নির্মাণকারী, রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন – সবাই এ দায় এড়াতে পারে না। এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০২:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
৬৪৪ Time View

বিমানবন্দরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ

আপডেটের সময় : ০২:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কারিগরিভাবে বৈধ হলেও এটি কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ এলাকায় গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করে।

‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিআইপি জানায়, প্রতিষ্ঠানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ার মধ্যে পড়েছে। তাই এখান থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া উচিত।

প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রানওয়ের পর ৫০০ ফুট এলাকায় কোনো স্থাপনা করা যায় না। এরপর ১৩ হাজার ফুটের একটি অংশ অ্যাপ্রোচ এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত, যেখানে ১৫০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার স্থাপনা অনুমোদনযোগ্য হলেও সেখানে কী ধরনের ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে সরকারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর সাধারণত শহর থেকে দূরে থাকে। কিন্তু ঢাকায় এখন রানওয়ের চারপাশে ঘনবসতি, আবাসিক এলাকা, এমনকি স্কুল-কলেজ রয়েছে। এটি কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা সরিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানি হবে। যেসব ভবনের অনুমোদন নেই বা অনুমোদন ব্যত্যয় হয়েছে, তা ভেঙে ফেলা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৫ সালের ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) অনুযায়ী মাইলস্টোন এলাকার জায়গাটি ছিল জলাশয়। সেটি ভরাট করতে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো, রাজউক কেন ভরাট করতে দিল? যারা অনুমোদন দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের দায় আছে।’

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘মাইলস্টোন নির্মাণকারী, রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন – সবাই এ দায় এড়াতে পারে না। এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।