ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে গাছের ডাল ভেঙে মাটিতে পড়ে  যুবকের মৃত্যু। ঠাকুরগাঁওয়ের জগদল সীমান্তে আটক ৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বাংলাদেশের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, রামপুরা থানা শাখার আয়োজনে পরিচিতি সভা ও হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠিত জামায়াত আমিরকে সেনাপ্রধানের ফোন, নিলেন স্বাস্থ্যের খোঁজ ‘সৎ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থাকা অফিসাররা পদোন্নতির দাবিদার’ দেশ ও জাতির উন্নয়নে অগ্রাধিকার ‘ভালো মানুষ’ হওয়া: সেনাপ্রধান নির্ধারিত সময়েই হবে নির্বাচন, এক দিনও পেছাবে না: প্রেস সচিব আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ: ফয়জুল হক ‎জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে অবমাননার প্রতিবাদে মির্জাপুরে বিক্ষোভ মিছিল

কখনো কখনো যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয়: ট্রাম্প

সাংবাদিক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে “যুদ্ধ করেই কখনো কখনো সমস্যার সমাধান করতে হয়” বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৬ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করি ইরান ও ইসরায়েল একসময় একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে। তবে অনেক সময় যুদ্ধই সমস্যা সমাধানের পথ হয়ে ওঠে।”

এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ইসরায়েলের পাশে আছে। তবে ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন কি না—সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

রোববার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টেও ট্রাম্প একই বার্তা দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ইরান ও ইসরায়েলকে একটা সমঝোতায় আসতেই হবে এবং তারা আসবেই।”

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়েও খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই পরিকল্পনার কথা তুললেও ট্রাম্প এতে সায় দেননি।

সিবিএসের তথ্যমতে, গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপে এই বিষয়টি উঠে আসে। ট্রাম্প বিষয়টিকে ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেননি। যদিও এ বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি রয়টার্সের প্রতিবেদন সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “অনেক কথোপকথন নিয়েই ভুল প্রতিবেদন আসে, যেগুলো আসলে ঘটেইনি। আমি বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে এটুকু বলব—আমরা যা করার দরকার, তা করব। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ ভালো বোঝে।”

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
৫৫০ Time View

কখনো কখনো যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয়: ট্রাম্প

আপডেটের সময় : ০৬:০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে “যুদ্ধ করেই কখনো কখনো সমস্যার সমাধান করতে হয়” বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৬ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করি ইরান ও ইসরায়েল একসময় একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে। তবে অনেক সময় যুদ্ধই সমস্যা সমাধানের পথ হয়ে ওঠে।”

এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ইসরায়েলের পাশে আছে। তবে ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন কি না—সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

রোববার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টেও ট্রাম্প একই বার্তা দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ইরান ও ইসরায়েলকে একটা সমঝোতায় আসতেই হবে এবং তারা আসবেই।”

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়েও খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই পরিকল্পনার কথা তুললেও ট্রাম্প এতে সায় দেননি।

সিবিএসের তথ্যমতে, গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপে এই বিষয়টি উঠে আসে। ট্রাম্প বিষয়টিকে ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেননি। যদিও এ বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি রয়টার্সের প্রতিবেদন সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “অনেক কথোপকথন নিয়েই ভুল প্রতিবেদন আসে, যেগুলো আসলে ঘটেইনি। আমি বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে এটুকু বলব—আমরা যা করার দরকার, তা করব। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ ভালো বোঝে।”