ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‎জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে অবমাননার প্রতিবাদে মির্জাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ‎অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক,কর্মচারীদের বিদায় ওএডহক কমিটির সভাপতিদের সাথে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু প্রধান উপদেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা স্পেসএক্স ভাইস প্রেসিডেন্টের ‎হাসানাহ একাডেমির আয়োজনে মৌসুমি ফল উৎসব অনুষ্ঠিত ‘গণহত্যা করেও অনুশোচনা নেই হাসিনার, করছে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র’ তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকছে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ‘ভুয়া’ তথ্য ছড়াচ্ছে আ.লীগ: প্রেস উইং গোপালগঞ্জে আজকের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত সাভারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ক্রিকেট ট্যুরিজমকে ঘিরে পর্যটনকে উন্নত করে অর্থনীতিতে অবদানই মূল লক্ষ্য

সাংবাদিক

ভোলা প্রতিনিধি।।।

ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টসের প্রধান নির্বাহী ও ভোলা জেলার ক্রীড়া সংগঠক মো. শাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজার কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিসিবি পরিচালকদের সভায় তিনজনকে অ্যাডভাইজার কমিটিতে মনোনীত করেন। তাদের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন মনোনীত হয়েছেন। অপর দুইজন হলেন- সৈয়দ আবিদ হোসেন সামী ও ব্যারিষ্টার শাইখ মাহাদী। এদের মধ্য থেকে পর্যটন খাত বিশেষজ্ঞ শাখাওয়াত হোসেনেক ক্রিকেট পর্যটন উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন দেশের পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। এই অঙ্গনে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে পুরষ্কার পেয়েছেন।

শুরু থেকেই তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন। নিয়মিত খেলাটার সঙ্গে আছেন। কর্পোরেট বড় দুটি ক্রিকেট আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে মো. শাখাওয়াত হোসেন গত কয়েক বছর যে সফলতা দেখিয়েছেন, তা নজর কাড়বে যে কারো। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতির উপদেষ্টা হওয়ার পরিচয়ের আগেইহোটেল ও পর্যটন ব্যবসার সাফল্য তাকে বসিয়েছে অনেক উঁচু আসনে।

ক্রিকেট ট্যুরিজম ঘিরে যেন এ দেশের পর্যটন খাতকে আরও উন্নত করা যায়, সেটিই মূল লক্ষ্য হিসেবে মনে করেন ক্রীড়া সংগঠক মো. শাখাওয়াত হোসেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। দেশে একাধিক আইসিসি বৈশ্বিক আসর হওয়ায় এ খাতে আরও বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং কর্মসংস্থান দুটোই সম্ভব। এটাকেই মূল চিন্তায় নিয়ে ক্রিকেট ও অন্যান্য ক্রীড়াকে নিয়ে কিভাবে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আরও গতিশীল করা যায় সেটা নিয়ে বিস্তৃতভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন।

তার পরিকল্পনা- বাংলাদেশের যে সব অঞ্চল বিদেশি পর্যটক বান্ধব সেসব জায়গায় বিশেষ করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা এসব বিভাগীয় শহরগুলোতে সামনের দিনে যেসব খেলা হবে, সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে ট্যুর প্ল্যানের অংশ হিসেবে সংযোগ করানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এতে করে অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস যেভাবে বাড়বে, বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জীবনাচার ক্রিকেট ট্যুরিজমের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা আরো সহজ হবে। এতে খেলার সঙ্গে এ দেশের ঐতিহ্য এবং অতীত নিয়েও জানতে পারবে পুরো দুনিয়া।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে নিজের পরিকল্পনা সাজিয়ে পরিবেশন করার কথাও তুলে ধরেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন দেশের পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। এই অঙ্গনে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে পুরষ্কার পেয়েছেন।

ভোলায় জন্ম নেয়া এই কর্পোরেট ব্যক্তিত্বের আছে নিজস্ব ক্ষেত্রেও দারুণ সাফল্য। শাখাওয়াত হোসেন এ দেশের পর্যটন খাত ও হোটেল নিয়ে শুধু কাজই করেন না, তিনি এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন এককভাবেই। যে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য দুটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কাছ থেকে এ বিষয়ে জ্ঞানার্জন করছেন শতশত শিক্ষার্থী। দেশের মূল জিডিপি থেকে প্রায় চার ভাগ (৩.৯৮) শতাংশ যে আয় আসে সেটি আরো বাড়িয়ে নেয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন নতুন নতুন উদ্ভাবনী সব ধারণা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।

বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় ক্রীড়া ইভেন্ট যেমন অলিম্পিক, ফুটবল বিশ্বকাপ কিংবা ঘরের পাশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় দেখা যায় সেখানে অঞ্চল ভেদে ওই ক্রীড়াযজ্ঞকে ঘিরে চলে ব্যাপক পরিবর্তন। যা জীবনমানে রেখে যায় দীর্ঘমেয়াদে উন্নতির ছাপ। সে কারণেই আধুনিক হোটেল ম্যানেজমেন্টে স্পোর্টস ট্যুরিজম দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

নিজের জন্মস্থানেও ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন বেশ বড় একটা সময়। এ সঙ্গে যোগ হয়েছে সফলভাবে দুটি বিহা (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন) টুর্নামেন্ট। সদ্য সমাপ্ত আসরে ৫১টি হোটেল থেকে প্রধান ২০টি হোটেল অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ হাউসকিপার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে স্বতন্ত্র আরও একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করে আসছেন এই গুণী কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব।

আগামী দিনে তার হাত ধরে পর্যটন ও বাংলাদেশের ক্রিকেট আরো একটা ধাপ উঁচুতে পৌঁছে যাবে, এ আশা করতেই পারে সংশ্লিষ্টরা। শাখাওয়াত হোসেনের চাওয়া একটাই, নতুনভাবে বাংলাদেশের ইতিবাচক ছবি পুরো বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দেয়া। যেখানে ক্রিকেট ট্যুরিজম শব্দটাও জায়গা করে নেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

শাখাওয়াত হোসেন হসপিটালিটি ও পর্যটন শিল্পে ২০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। যার মধ্যে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনায় ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স অফ ফিলোসফি (এমফিল) এবং এমবিএ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একজন উজ্জ্বল প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে স্বীকৃত।

তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তা ও পর্যটন শিল্পের একজন স্বনামধন্য পেশাদার ব্যক্তিত্ব। তার কর্মজীবনে বাংলাদেশের বিভিন্ন নামীদামী হোটেলে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। সর্বোপরি, তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার শক্তিশালী নেতৃত্বের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। প্রতিযোগীদের শক্তি, অর্থনৈতিক প্রবণতা, সরবরাহ এবং চাহিদা সহ সামগ্রিক বাজার সম্পর্কে তার সুদৃঢ় জ্ঞান রয়েছে।

তিনি ওয়েস্টিন ঢাকাকে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হোটেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন এবং এখন তিনি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসিকে সাফল্যের উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার যাত্রা শুরু করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের একজন অ্যাডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি।

শাখাওয়াত হোসেন একমাত্র বাংলাদেশি হসপিটালিটি ব্যক্তিত্ব যিনি একজন শিল্প বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং গবেষক। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
৫৪৩ Time View

ক্রিকেট ট্যুরিজমকে ঘিরে পর্যটনকে উন্নত করে অর্থনীতিতে অবদানই মূল লক্ষ্য

আপডেটের সময় : ০৩:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ভোলা প্রতিনিধি।।।

ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টসের প্রধান নির্বাহী ও ভোলা জেলার ক্রীড়া সংগঠক মো. শাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজার কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিসিবি পরিচালকদের সভায় তিনজনকে অ্যাডভাইজার কমিটিতে মনোনীত করেন। তাদের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন মনোনীত হয়েছেন। অপর দুইজন হলেন- সৈয়দ আবিদ হোসেন সামী ও ব্যারিষ্টার শাইখ মাহাদী। এদের মধ্য থেকে পর্যটন খাত বিশেষজ্ঞ শাখাওয়াত হোসেনেক ক্রিকেট পর্যটন উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন দেশের পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। এই অঙ্গনে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে পুরষ্কার পেয়েছেন।

শুরু থেকেই তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন। নিয়মিত খেলাটার সঙ্গে আছেন। কর্পোরেট বড় দুটি ক্রিকেট আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে মো. শাখাওয়াত হোসেন গত কয়েক বছর যে সফলতা দেখিয়েছেন, তা নজর কাড়বে যে কারো। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতির উপদেষ্টা হওয়ার পরিচয়ের আগেইহোটেল ও পর্যটন ব্যবসার সাফল্য তাকে বসিয়েছে অনেক উঁচু আসনে।

ক্রিকেট ট্যুরিজম ঘিরে যেন এ দেশের পর্যটন খাতকে আরও উন্নত করা যায়, সেটিই মূল লক্ষ্য হিসেবে মনে করেন ক্রীড়া সংগঠক মো. শাখাওয়াত হোসেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। দেশে একাধিক আইসিসি বৈশ্বিক আসর হওয়ায় এ খাতে আরও বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং কর্মসংস্থান দুটোই সম্ভব। এটাকেই মূল চিন্তায় নিয়ে ক্রিকেট ও অন্যান্য ক্রীড়াকে নিয়ে কিভাবে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আরও গতিশীল করা যায় সেটা নিয়ে বিস্তৃতভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন।

তার পরিকল্পনা- বাংলাদেশের যে সব অঞ্চল বিদেশি পর্যটক বান্ধব সেসব জায়গায় বিশেষ করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা এসব বিভাগীয় শহরগুলোতে সামনের দিনে যেসব খেলা হবে, সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে ট্যুর প্ল্যানের অংশ হিসেবে সংযোগ করানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এতে করে অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস যেভাবে বাড়বে, বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জীবনাচার ক্রিকেট ট্যুরিজমের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা আরো সহজ হবে। এতে খেলার সঙ্গে এ দেশের ঐতিহ্য এবং অতীত নিয়েও জানতে পারবে পুরো দুনিয়া।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে নিজের পরিকল্পনা সাজিয়ে পরিবেশন করার কথাও তুলে ধরেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন দেশের পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। এই অঙ্গনে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে পুরষ্কার পেয়েছেন।

ভোলায় জন্ম নেয়া এই কর্পোরেট ব্যক্তিত্বের আছে নিজস্ব ক্ষেত্রেও দারুণ সাফল্য। শাখাওয়াত হোসেন এ দেশের পর্যটন খাত ও হোটেল নিয়ে শুধু কাজই করেন না, তিনি এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন এককভাবেই। যে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য দুটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কাছ থেকে এ বিষয়ে জ্ঞানার্জন করছেন শতশত শিক্ষার্থী। দেশের মূল জিডিপি থেকে প্রায় চার ভাগ (৩.৯৮) শতাংশ যে আয় আসে সেটি আরো বাড়িয়ে নেয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন নতুন নতুন উদ্ভাবনী সব ধারণা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।

বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় ক্রীড়া ইভেন্ট যেমন অলিম্পিক, ফুটবল বিশ্বকাপ কিংবা ঘরের পাশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় দেখা যায় সেখানে অঞ্চল ভেদে ওই ক্রীড়াযজ্ঞকে ঘিরে চলে ব্যাপক পরিবর্তন। যা জীবনমানে রেখে যায় দীর্ঘমেয়াদে উন্নতির ছাপ। সে কারণেই আধুনিক হোটেল ম্যানেজমেন্টে স্পোর্টস ট্যুরিজম দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

নিজের জন্মস্থানেও ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন বেশ বড় একটা সময়। এ সঙ্গে যোগ হয়েছে সফলভাবে দুটি বিহা (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন) টুর্নামেন্ট। সদ্য সমাপ্ত আসরে ৫১টি হোটেল থেকে প্রধান ২০টি হোটেল অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ হাউসকিপার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে স্বতন্ত্র আরও একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করে আসছেন এই গুণী কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব।

আগামী দিনে তার হাত ধরে পর্যটন ও বাংলাদেশের ক্রিকেট আরো একটা ধাপ উঁচুতে পৌঁছে যাবে, এ আশা করতেই পারে সংশ্লিষ্টরা। শাখাওয়াত হোসেনের চাওয়া একটাই, নতুনভাবে বাংলাদেশের ইতিবাচক ছবি পুরো বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দেয়া। যেখানে ক্রিকেট ট্যুরিজম শব্দটাও জায়গা করে নেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

শাখাওয়াত হোসেন হসপিটালিটি ও পর্যটন শিল্পে ২০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। যার মধ্যে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনায় ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স অফ ফিলোসফি (এমফিল) এবং এমবিএ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একজন উজ্জ্বল প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে স্বীকৃত।

তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তা ও পর্যটন শিল্পের একজন স্বনামধন্য পেশাদার ব্যক্তিত্ব। তার কর্মজীবনে বাংলাদেশের বিভিন্ন নামীদামী হোটেলে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। সর্বোপরি, তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার শক্তিশালী নেতৃত্বের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। প্রতিযোগীদের শক্তি, অর্থনৈতিক প্রবণতা, সরবরাহ এবং চাহিদা সহ সামগ্রিক বাজার সম্পর্কে তার সুদৃঢ় জ্ঞান রয়েছে।

তিনি ওয়েস্টিন ঢাকাকে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হোটেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন এবং এখন তিনি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসিকে সাফল্যের উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার যাত্রা শুরু করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের একজন অ্যাডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি।

শাখাওয়াত হোসেন একমাত্র বাংলাদেশি হসপিটালিটি ব্যক্তিত্ব যিনি একজন শিল্প বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং গবেষক। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে