গার্মেন্টস শ্রমিকদের বোনাস ঈদের আগে আর বেতন আগামী ১০ এপ্রিল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
বুধবার রাজধানীর শান্তিনগরে শ্রম অধিদপ্তর, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বৈঠকে শ্রম সচিব মো. এহসানে এলাহী, তৈরি পোশাকের দুই খাতের মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধিরা বেতন ও বোনাস দেয়ার তারিখ বেঁধে দিতে দাবি জানালেও মালিক পক্ষের বাধার মুখে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার বিষয়টি বাদ যায়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বৈঠকের সিদ্ধান্তের ঘোষণা জানিয়ে বলেন, নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করে মালিক ও শ্রমিকের ওপর ছেড়া দেয়া হলো। যেসব কারখানা শ্রমিকদের বেতন সময়মতো দিতে গড়িমসি করবে, সেগুলো চিহ্নিত করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মালিকপক্ষ মিলে ব্যবস্থা নেয়া নেবে।
বৈঠক শ্রমিকনেতারা দাবি করেন, চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন, ১৭ এপ্রিল বা ২৫ রোজার মধ্যে ঈদ বোনাস এবং ঈদের ছুটির সময় এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করার। পাশাপাশি প্রতি ঈদে কিছু কারখানা বেতন-বোনাস না দিয়ে শ্রমিকদের পথে ঠেলে দেয়। এমন কারখানাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় তারা। বেতন-ভাতা পরিশোধে তারিখ নির্ধারণ না করলে এবং কোথাও কোনো সমস্যা হলে তার দায় মালিকের।
বেতন বোনাস দেয়ার বিষয়টি নির্দিষ্ট করার বিপক্ষে মত দেন মালিকরা। তারা বলেন, মালিক- শ্রমিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে। অনেক কারখানা শ্রমিকের চাওয়ার আগেই বেতন-বোনাস দেবে।
মালিকপক্ষ আরও বলে, যেসব কারখানা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে ঝামেলা করতে পারে, সেগুলো চিহ্নিত করে কীভাবে সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যায়, সে ব্যবস্থা করা হবে। এপ্রিলের বেতন পরিশোধের ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রতি না দেয়ার কথা জানিয়েছে মালিকপক্ষ।
বৈঠকে শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা মাস চাকরি করার পর যদি ঈদের আগে শ্রমিকরা বেতন-ভাতা না পান, তবে এ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি কারো পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব নয়। তাই মালিকরা সময়মতো বেতন-ভাতা দেবেন বলে আশা করি। যাতে সবাই ঈদ ভালোভাবে কাটাতে পারে।