বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের জন্য দেশের জনগণ উম্মুখ হয়ে আছে। দীর্ঘ ১৮ বছর পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের জন্য মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এবার সাধারণ জনগণ অতীতের খুনী, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখান করে কুরআনের রাজ কায়েম করতে চায়। তাই দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ এবং তাদের কল্যাণ সাধনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনী কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন হবে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখার জন্য এই নির্বাচন। তাই জামায়াতে ইসলামী সমাজে আল্লাহর আইন, সৎ, যোগ্য দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭ টায় দেওয়ান বাজারস্থ নগর জামায়াতের কার্যালয়ে বিআইএ মিলনায়তনে থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফের সাদেক।

প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-২ ( ফটিকছড়ি) সংসদীয় আসনে এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড
কাউন্সিলর এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, হামেদ হাসান ইলাহী, প্রফেসর মো. সাইফুল্লাহ, আমির হোসাইন, ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ, আবুল মোকাররম, ফারুখে আজম, মুহাম্মদ ইসমাইল, জাকির হোছাইন, আব্দুল গফুর, মাহবুবুল হাসান রুমি, অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান চৌধুরী, নুরুল আলম, আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, অধ্যাপক আলমগীর ভুঁইয়া, সুলতান আহমদ, মুহাম্মদ সেলিম, সেলিমুল্লাহ জামান, আলতাফ উদ্দীন, মহিউদ্দীন শাহজাহান, আ ম ম মসরুর হোসাইন প্রমুখ।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর সাদেক বলেন- সাংগঠনিক ও বাইতুলমাল পক্ষ প্রতি বছর পলিত হয়। জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক এবং সুশৃঙ্খল সংগঠন। সাংগঠনিক মজবুতি সংগঠনের অভ্যন্তরে গতিশীলতা আনায়ন এবং দুর্বলতা দূর করা এবং বাইতুলমাল বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি করনের জন্য এবং প্রত্যন্ত এলাকায় সংগঠন সম্পসারণ ও তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার মাধ্যমে এই পক্ষকে সফল করতে হবে।

সমাপনী বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন- এখন থেকে নির্বাচনী কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা খুন, গুম ও দুর্নীতি শুরু করেছে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আওয়ামী খুনী, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শস্তি দিতে হবে।