নতুন বছরের শুরুতেই নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন ধরন। এরইমধ্যে চীনসহ বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে চীনে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া। এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় আমাদের দেশেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সীমান্তের সকল স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে করোনা পরীক্ষা।
এদিকে পাঁচ দিন মৃত্যুহীনভাবে চলার পর বছরের শেষ দিনে একজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় একজন কোভিড রোগী মারা গেছেন, শনাক্ত হয়েছে ২৩ রোগী। এর আগে টানা পাঁচ দিন কোভিডে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮১১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৩। তাতে দৈনিক শনাক্তের হার হয়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা আগের দিন ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ১২৫ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩৩ জন।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১৮ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ১ জন, রাজশাহীতে ২ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত এক দিনে যে একজন ব্যক্তি মারা গেছেন তার বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তিনি সিলেট জেলার বাসিন্দা। একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৬ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৩ লাখ।বাংলাদেশ জার্নাল