বঙ্গবন্ধু অবিশ্বাস্য মানসিক শক্তি, ত্যাগ ও দক্ষতার অধিকারী ছিলেন: ড.কলিমউল্লাহ

১৭ নভেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪৭২তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, শিল্প উদ্যোক্তা তাসলিমা ফেরদৌস এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম, ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ও নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর শিল্পী ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি গবেষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও কুমিল্লার লাকসাম থেকে প্রভাষক মোঃ কামাল উদ্দিন ।

সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্হ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু অবিশ্বাস্য মানসিক শক্তি, ত্যাগ ও দক্ষতার অধিকারী ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাসলিমা ফেরদৌস বলেন,বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সহযোগীরা স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন একটি প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের জন্য।

আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধুহত্যার প্রকৃত কারণ এবং নেপথ্যের কুশিলবদের খুঁজে বের করতে হবে।

আমাতুন‌ নূর বলেন,ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুহত্যার বিচার করেছি, জাতির পিতা রাষ্ট্রনায়ক, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পারিনি।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন।আর এই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন,পূর্ব বাংলার সাড়ে-সাত কোটি মানুষ, যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রাণের চাইতেও বেশি ভালোবাসতো।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক ড. দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।