মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বান্দরবান সদর উপজেলার প্রথম দফায় শেষে দ্বিতীয় দফায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রি শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে সাধারণ মানুষ সুবিধাভোগীরা টিসিবি পণ্যের কিনতে কার্ডধারী ক্রেতাদের ভীর দেখা গেছে। গতকাল থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা দিক নির্দেশনায় উপজেলার অন্তগর্ত কুহালং ইউনিয়নের ক্যমংলং পাড়া, চড়ুই পাড়া, বালাঘাটা,সহ প্রায় ৯ টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে কার্ডধারীদের মাঝে পৌছে দিচ্ছে ২য় পর্যায়ের ভুতুর্কি টিসিবির পণ্য।
প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, রমজান মাসে শুরু থেকে ১ম পর্যায়ের টিসিবি পণ্যের ৩শত ৮৫. ৪৪ মেট্রিকটন যা পুরো জেলায় ৬৪ হাজার ২ শত ৪০ জন পরিবারের মাঝে দেওয়া শেষ করেছে। রমজান মাসের মধ্যদিনের আজ থেকে ২য় পর্যায়ের ৫শত ১৩. ৯২ মেট্রিকটন টিসিবি পণ্যের বিক্রি করা হবে। যা সদর উপজেলার কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্যের পাবেন ৯ হাজার ৭শত ৪১ জন পরিবার।
সুবিধাভোগী অংমে ও ক্রাম্যাপ্রু মারমা বলেন, পাহাড়িদের সামনে নববর্ষ। সে সুযোগের উপজেলার প্রশাসন নির্ধারিত মুল্য টিসিবির পণ্যের কিনতে পেরে খুব খুশি। অনেক দিন ব্যবহার করতে পারব।
এদিকে ১ম পর্যায় শেষে ২য় পর্যায়ের টিসিবির পণ্যের মধ্যে ২লিটার ভোজ্য তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও নতুন পণ্যের যুক্ত হয়েছে ২ কেজি ছোলা। তবে ছোলাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কাছে জনপ্রিয় না থাকায় তেমন কিনছেন নাহ ভোক্তারা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা জানান, সদর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ০৭ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত কার্ডধারী প্রতিটি পরিবার ৫৬০ টাকার বিনিময়ে ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি আর ৫০ টাকা ধরে দুই কেজি ছোলা পাবে। এই কার্যক্রমের আওতায় সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৭ শত ৪১জন পরিবার টিসিবি’র পণ্য পাবেন।
কুহালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো:আবুল কালাম ও কুহালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অংসাহ্লা মারমা বলেন, উপজেলার প্রশাসন নির্দেশনায় আজ থেকে ২য় পর্যায়ের কুহালং ইউনিয়নে ২হাজার ৩শত জন কার্ডধারী মাঝের টিবিসি পণ্যের বিক্রি শুরু করেছি। প্রত্যেক ওয়ার্ডের ট্রাকের ভর্তি করে ভুতুর্কি টিসিবির পণ্যের পৌছে দিচ্ছি। তবে ছোলাটি কেউ কিনছে নাহ।
বান্দরবান সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা বলেন, ১ম পর্যায়ের ভুতুর্কি টিসিবির পণ্যের বিক্রি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সদর উপজেলার কার্ডধারী সুবিধা ভোগীদের মাঝে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সুবিধাভোগীদের পরিপূর্ণ হলে টিসিবির পণ্যের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিসিবির পণ্যের ছোলা যুক্ত হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কাছে ছোলা জনপ্রিয় না থাকাতেই কেউ কিনছেন নাহ। তবে রমজান মাসের শুরু দিনের কার্ডারীদের কাছে ছোলা বিক্রি করা হয়েছে।