ব্যাংকে জমানো টাকায় হজ করলে আদায় হবে কি?
হ্যাঁ, ব্যাংকে টাকা জমিয়ে সেই টাকায় হজ করলে হজ আদায় হবে এবং তা বৈধ। যেহেতু টাকা হালাল উপায়ে উপার্জন করা হয়েছে এবং হজ করার সামর্থ্য তৈরি হয়েছে, তাই এই টাকায় হজ করা জায়েজ।
তবে ব্যাংকে টাকা জমিয়ে হজ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেননি। মানুষের স্বাভাবিক গতিতে যখন হজ করার সামর্থ্য হবে তখন সে ব্যক্তি হজ করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) হজ করার উদ্দেশে ধারাবাহিকভাবে টাকা জমানোর কথা বলেননি। বরং যার শারীরিকভাবে এবং আর্থিকভাবে হজ করার সামর্থ্য হবে তাকেই হজ করতে হবে, একথা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন। হজের ব্যাপারে কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—
وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا
‘আর মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশে ওই ঘরের হজ করা তার জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৯৭)
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি আবেগপ্রবণ হয়ে কষ্ট করে টাকা জমিয়ে তারপর হজ করেন, তাহলে হজের জন্য টাকা জমানো তার জন্য নিষিদ্ধ নয়। আর যদি ওই টাকা দিয়ে তিনি হজ করেন, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই যে, কাজটি উত্তম হবে। তিনি এটা করতে পারবেন।
আরও কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য—
জাকাত: হজের জন্য জমা করা টাকার ওপর জাকাত দিতে হবে, যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ এক বছর জমা থাকে।
হজে যাওয়ার সামর্থ্য: হজ ফরজ হওয়ার জন্য শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া জরুরি। ব্যাংকে টাকা জমানোর উদ্দেশ্য যদি এই সামর্থ্য অর্জন করা হয়, তবে তা বৈধ।
বিকল্প ব্যবস্থা: যদি কেউ বদলি হজ করার জন্য টাকা জমা করে থাকে এবং পরবর্তীতে নিজে হজ করার সামর্থ্য অর্জন করে, তবে তাকে নিজের হজ আদায় করতে হবে।



























