প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুন ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০:৩০ ঘটিকা হতে রাত ০১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানীর কদমতলী, সুত্রাপুর, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত এলাকায় নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে “লুকাস ইলেকট্রনিক্সকে” ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, “বি এস এন ক্যাবল্সকে” ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা,“জিনার এগ্রো ফুডকে” ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, “এ বি সি কেমিক্যালকে” ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, “সুপার সাইন ক্যাবলসকে” ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা, “নকল বিদ্যুৎ কালো নিমের মাজনকে” ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা করে ০৬টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৯,১০,০০০ (ঊনত্রিশ লক্ষ দশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আনুমানিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের নকল বিদ্যুৎ কালো নিমের মাজন জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল বলে জানা যায়।