Sunday , 28 April 2024
শিরোনাম

শিক্ষকের ৪ সন্তানই বুয়েটের শিক্ষার্থী, মেয়ে চিকিৎসক

রাহাত মামুন ,চট্টগ্রাম (রাঙ্গুনিয়া) সংবাদদাতা:

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক স্কুল শিক্ষকের চার ছেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী। বড় দুজন বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে এবং ছোট দুজনের একজন বুয়েটে অধ্যয়নরত এবং অন্যজন সদ্য ভর্তি হয়েছেন।

শুধু পুত্ররাই এগিয়ে নন, তার দুই কন্যার একজন ঢাকা পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং অন্যজন পড়ছেন দশম শ্রেণিতে। গর্বিত এই পিতার নাম আমিনুর রহমান। তিনি উপজেলার মরিয়মনগর কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাড়ি উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ছাইনীপাড়া গ্রামের কালারাজার বাড়িতে।বুয়েট পড়ুয়া ৪ ভাই হলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের হাসান মনির, হাসান মুরাদ, হাসান মাসুম ও সবার ছোট হাসান মামুন। এর মধ্যে দুই ভাই বুয়েট থেকে পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করছেন। তাদের বাবা আমিনুর রহমান একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

বুয়েটের ২০১৩–১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী এই পরিবারের তৃতীয় সন্তান হাসান মুরাদ। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকার ৭৪তম স্থান অর্জন করেন তিনি। এখনও বুয়েটে পড়ছেন এই শিক্ষক পরিবারের চতুর্থ সন্তান হাসান মাসুম। তিনি বর্তমানে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মাসুম বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮–১৯ ব্যাচে ৮০তম মেধাতালিকা অধিকার করেন। অন্যদিকে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা ২০২১–২২ ব্যাচে ৩২৪তম মেধাতালিকা অর্জন করে চান্স পেয়েছেন পঞ্চম সন্তান হাসান মামুন। তিনি বুয়েটে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন।

৪ ভাইয়ের বাবা আমিনুর রহমান বলেন, চার ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মনির বুয়েটে পড়ালেখা শেষে ঢাকার একটি সরকারি ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেয়। মেয়ে আয়শা সুলতানা ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। ছেলে মুরাদ চুয়েটের (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) কম্পিউটার বিভাগের প্রভাষক। মাসুম বুয়েটে পড়ছে। এবার মামুন সুযোগ পেয়েছে। ছোট মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তিন ছেলের পর ছোট ছেলেও বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আমরা খুব খুশি।এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে হাসান মামুন বলেন, বুয়েটে পরীক্ষা দেয়ার পর একটা চাপ ছিলো টিকবো কিনা। সুযোগ পেয়ে চাপ থেকে মুক্ত হলাম। তিন ভাইয়ের মতো আমারও স্বপ্ন ছিলো বুয়েটে পড়ার। কঠোর পরিশ্রম করেছি, সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ভালোভাবে পড়াশোনা করলে কাঙ্ক্ষিত স্থানে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

Check Also

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সনাতন সেবা সংঘের অভিষেক অনুষ্ঠিত

দিলীপ কুমার দাস নিজস্ব প্রতিবেদক ।   ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা বাথুয়াদী শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x