জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যাকারী আরও একজনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত এমডি রাকিবিল্লাহ্ রাকিব (২৮)। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। একইসাথে তিনি উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের যৌথ স্বাক্ষরে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
একইসাথে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না— মর্মে আগামী ৭দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত রাকিবিল্লাহ্ সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি। তিনি বকশীগঞ্জ নামাপাড়া গ্রামের মৃত ননি মিয়ার ছেলে।
ইতোপূর্বে শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে এবং তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় বাবু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহসভাপতি নাদিম। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে, শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় বকশীগঞ্জ থানায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বাবু চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ২২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।
প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানকে অপর দুই সহযোগীসহ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আজ ভোরে আটক করেছে র্যাব।