আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, ৩ দিন বন্ধ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা

অন্যান্য

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১৩ মে) তিনি মারা গেছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ওয়াম এক টুইট বার্তায় বলেছে, প্রেসিডেন্ট কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে দেশের পতাকা অর্ধনমিত করে ৪০ দিনের সরকারি শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে। শোক পালনের পাশাপাশি ফেডারেল ও স্থানীয় পর্যায়ে, মন্ত্রণালয়ে এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলো তিন দিন বন্ধ থাকবে।

জানা গেছে, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অসুস্থার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন তিনি।

২০০৪ সালে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের বাবা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান মারা গেলে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এর এক দশক পর তিনি স্ট্রোকের শিকার হন, তখন থেকেই তাকে জনসম্মুখে খুব বেশি দেখা যায়নি।

শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আরব আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ও আবু ধাবির ১৬তম শাসক ছিলেন। তিনি শেখ জায়েদের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আবুধাবির অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেন।আরব আমিরাতের বর্তমান অবস্থানের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি দেশটির তেল ও গ্যাসের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

এদিকে প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে তার ভাই ও আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদকে আমিরাতের ডি-ফ্যাক্টো শাসক হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার উত্তরসূরীর ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *