ঢাকা , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত মানিকগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি- হাসিনার সঙ্গে রেহানা ও টিউলিপের কারাদণ্ড রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদার রোগ মুক্তি কামনায়দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শারিরীকভাবে অসুস্থ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায় প্রবাসী নোয়াখালী জেলা বিএনপি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএনও প্রদিপ্ত রায় দীপনের আকস্মিক পরিদর্শন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতির উদ্বেগ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়, জানালেন তারেক রহমান ব্যাটিং বিপর্যয়ে হার, বিফলে হৃদয়ের ঝড়ো ফিফটি

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, দায়িত্বে গাফিলতিতে ৪ পুলিশ ক্লোজড

সাংবাদিক

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে থানার চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান।

ক্লোজড হওয়া সদস্যরা হলেন এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই আনারুল, এবং কনস্টেবল মাজেদুর রহমান ও মো. নুরুন্নবী।

পুলিশ জানায়, ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন তিন ছিনতাইকারী, ইউসুফ, সিয়াম ও জহুরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে ভুক্তভোগী আহমাদ ওয়াদুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরে তিন রাস্তার মোড়ে তার ওপর ছিনতাইকারীরা হামলা চালায় এবং মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। চাপাতি দিয়ে আঘাতও করে।

ঘটনার পরপরই তিনি ও তার স্ত্রী মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে চাইলে, ডিউটি অফিসার এসআই জসিম উদ্দিন এবং অপর এক সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

অভিযোগপত্র লেখার জন্য কলম না দেওয়া, অভিযোগ গ্রহণে বিলম্ব এবং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনীহা—এসবই অভিযোগে উঠে আসে।

ওসি ইফতেখার হাসানের সঙ্গেও দেখা করতে গেলে তিনি ভুক্তভোগীকে বলেন, “আমি নিজেই এত কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!”

পরবর্তীতে এএসআই আনারুল ঘটনাস্থলে যেতে রাজি হলেও সেখানে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার পরও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচিত হলে পুলিশ প্রশাসন দায়ী চার সদস্যকে ক্লোজড করে।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান বলেন, “তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
৬৪৫ Time View

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, দায়িত্বে গাফিলতিতে ৪ পুলিশ ক্লোজড

আপডেটের সময় : ০১:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে থানার চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান।

ক্লোজড হওয়া সদস্যরা হলেন এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই আনারুল, এবং কনস্টেবল মাজেদুর রহমান ও মো. নুরুন্নবী।

পুলিশ জানায়, ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন তিন ছিনতাইকারী, ইউসুফ, সিয়াম ও জহুরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে ভুক্তভোগী আহমাদ ওয়াদুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরে তিন রাস্তার মোড়ে তার ওপর ছিনতাইকারীরা হামলা চালায় এবং মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। চাপাতি দিয়ে আঘাতও করে।

ঘটনার পরপরই তিনি ও তার স্ত্রী মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে চাইলে, ডিউটি অফিসার এসআই জসিম উদ্দিন এবং অপর এক সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

অভিযোগপত্র লেখার জন্য কলম না দেওয়া, অভিযোগ গ্রহণে বিলম্ব এবং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনীহা—এসবই অভিযোগে উঠে আসে।

ওসি ইফতেখার হাসানের সঙ্গেও দেখা করতে গেলে তিনি ভুক্তভোগীকে বলেন, “আমি নিজেই এত কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!”

পরবর্তীতে এএসআই আনারুল ঘটনাস্থলে যেতে রাজি হলেও সেখানে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার পরও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচিত হলে পুলিশ প্রশাসন দায়ী চার সদস্যকে ক্লোজড করে।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান বলেন, “তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”