ঢাকা , শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা বিমানবন্দরে আগুন: উদ্ধার কাজে বিমান নৌ সেনাবাহিনী বিজিবি ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই : ইসি আনোয়ারুল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘কালো পতাকা মিছিল’ জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা জাবির দর্শন বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা রেড ক্রিসেন্ট নিয়ে যে রাজনীতিকরন করবে তাকে সংগঠন থেকে বের করা দেওয়া উচিত: জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীন চাঁদপুরে লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস পালনে “লালন শিল্পী নয়, গানের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারক, উনি অসাম্প্রদায়িক মানুষ: জেলা প্রশাসক আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিক
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা যায়, সবগুলো মামলার বাদী পুলিশ। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট। বাকি তিনটি মামলার বাদী শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। মামলার সব আসামি অজ্ঞাত। প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের নাম রিমন চন্দ্র বর্মন।

এর আগে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নিজেদের তিনটি দাবি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে একদল লোক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আন্দোলন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটে অবস্থান করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আগে থেকেই আন্দোলনকারীদের একাংশ সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান করছিল। সংসদ ভবনের ভেতরে থাকা অংশটি অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে বাইরে থাকা অংশটি সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ভেতরে থাকা অংশটি বাইরে চলে আসে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও চেয়ার নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

কয়েক দফা সংঘর্ষে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৯:০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
৫০৯ Time View

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটের সময় : ০৯:০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা যায়, সবগুলো মামলার বাদী পুলিশ। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট। বাকি তিনটি মামলার বাদী শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। মামলার সব আসামি অজ্ঞাত। প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের নাম রিমন চন্দ্র বর্মন।

এর আগে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নিজেদের তিনটি দাবি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে একদল লোক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আন্দোলন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটে অবস্থান করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আগে থেকেই আন্দোলনকারীদের একাংশ সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান করছিল। সংসদ ভবনের ভেতরে থাকা অংশটি অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে বাইরে থাকা অংশটি সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ভেতরে থাকা অংশটি বাইরে চলে আসে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও চেয়ার নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

কয়েক দফা সংঘর্ষে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।