Monday , 6 May 2024
শিরোনাম

টাঙ্গাইলে টিউবওয়েল থেকে রাস্তায় পানি গড়িয়ে পড়াই যেন কাল হলো রোজাদার নুরজাহান বেগমের।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মাহমুদুল হক টুটুল
সদরের বাইমাইল এলাকায় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের আঘাতে তিনজন গুরুতর আহত ও বাড়িঘরে ভাঙচুর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট পাট
বিস্তারিত__ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৭ নং দাইন্যা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে বাইমাইল এলাকার মৃত আব্দুল গনি ফকিরের ছোট ছেলে মোঃ আতাউর রহমান (৬০)বলেন,বিবাদী ১নং শাহ আলম (২৭), পিতা-বাদশা মিয়া ২নং বাদশা মিয়া (৪৫) পিতা-মৃত হায়াত আলী ৩নং আলেয়া বেগম (৩৫) স্বামী বাদশা মিয়া ৪ আরজিনা বেগম (২২) স্বামী শাহ আলম ৫ নং হাসান মিয়া (২৬) পিতা শফিক মিয়া, সর্ব সাং- বাইমাইল ডাকঘর ধরেরবাড়ি থানা ও জেলা টাংগাইল আরো অজ্ঞাত দুই-তিনজন। এরা এলাকায় অত্যন্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির দাঙ্গাবাজ লাঠিয়াল ও ভূমিধস শ্রেণীর লোক বটে। যাহাদের বাহমে আরো অনেক দুর্দান্ত প্রকৃতি ও চক্রান্তকারী লোক আছে। এরা দীর্ঘদিন যাবৎ সহিত জমিজমার বিষয়াদি নিয়া বিরোধ ও শত্রুতা করিয়া আসিতেছে। বিরোধের জের হিসেবে অদ্য ৩/৪/২০২২ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৬ ঘটিকার সময় আমি রোজাদার হিসেবে ইফতার ও নামায পড়ার জন্য অজু করতে গেলে আমার টিউবলের পানি রাস্তায় যাওয়া মাত্রই ১নং বিবাদী শাহ আলম তার বসত বাড়ী হইতে বাহির হওয়া মাত্রই রাস্তায় পানি দেখিয়া শাহ আলম আমার টিউবলের টিনের বেড়া সজোরে এলোপাতাড়িভাবে বাঁশের লাঠি দিয়া এবং বসতবাড়ি টিনের বেড়া ভাঙচুর করে ফেলে।২ নং বিবাদী বাদশামিয়া আমার বসত বাড়ির ঘরের ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার স্ত্রী ও কন্যার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে এবং ১ নং বিবাদী শাহ আলম আমার ঘরের বিছানার তোষকের নিচে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও আমার কন্যার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যার আনুমানিক মূল্য ৭২ হাজার তান মারিয়া ছিনিয়ে নিয়া যায়। তাহাদের হাতে থাকা দা-ছুরি,লোহার রড, চাপাতি, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি-লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে স্ত্রী নূরজাহান (৪৫) বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লক্ষ্য করিয়া করলে উক্ত মাথার ডান পাশে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। কন্যা আকলিমা আক্তারের চুলের মুঠি ধরে পরনের কাপড় টানাহেঁচড়া করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমার ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আসিয়া বিবাদীদের কবল হইতে আমাদেরকে প্রাণে রক্ষা করে। তাহারা যাওয়ার সময় হুমকি প্রদর্শন করে বলে তোকে সহ তার পরিবারের সদস্যদের সুযোগ মত পাইলে খুন করিয়া লাশ গুম করে ফেলিবে। তোদেরকে বাড়ী হইতে উচ্ছেদ করিয়া দিব হুমকি প্রদর্শন করিয়া চলিয়া যায়। ঘটনার বিষয়ে এলাকার বিভিন্ন সাক্ষী আছে বলে জানা যায়। এমন অবস্থায় আতোয়ার রহমান তার পরিবারের লোকজনদের যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর অঘটন হতে পারে বলে মনে করছেন। স্ত্রী নুরজাহানকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাথায় কাপড় দিয়ে পেচিয়ে অটোরিকশা করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ গিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আসছে দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

Check Also

‘সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে’

সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x