Saturday , 27 April 2024
শিরোনাম

পাঁচ শর্তে হিন্দিসহ উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র আমদানির অনুমোদন

পাঁচটি শর্তে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাইফুল ইসলামের (চলচ্চিত্র শাখা) সই করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি সংক্রান্ত সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়।

সেখান থেকে ইতিবাচক মতামত পাওয়ার পর আমদানি নীতি আদেশ ২০২১০২০২৪ এর ২৫ (৩৬) (গ) উপ-অনুচ্ছেদের শর্ত প্রতিপালনপূর্বক বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো থেকে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শর্তগুলো হলো-

শুধু বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকরা উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন।

উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র সাব-টাইটেলসহ পরীক্ষামূলক শুধু দুই বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে। প্রথম বছর ১০টি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করা যাবে।

আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ নিতে হবে। বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল আজহা, দুর্গা পূজার সপ্তাহে উপমহাদেশীয় ভাষার কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে দেশে ভারতীয় ছবি আমদানিতে সম্মত হয়েছে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ। আপনারা ভেবেচিন্তে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট সংখ্যক ভারতীয় হিন্দি ছবি যদি আমদানি হয়, তাহলে অনেকে আবার হলমুখী হবে এবং বাংলা ছবি বা আমাদের ছবিও দেখতে যাবে।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই একমত হয়ে নির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির বিষয়ে একমত হয়েছেন। অতীতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার কাছে দাবি করা হয়েছিল ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি করার জন্য। এটি আমি বারবার বলে এসেছি যে, সব সমিতি যদি একমত হয় (তাহলে বাস্তবায়ন সম্ভব), না হলে সেক্ষেত্রে আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব না।

মন্ত্রী বলেন, অতীতে দেখা গেছে এ রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরে শিল্পী সমিতি আপত্তি জানিয়েছিল। অনেক শিল্পীও আপত্তি জানিয়েছিলেন। সবাই একমত হলে পরে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব, সেটি বলেছিলাম। আপনারা একমত হয়েছেন, সবাই সই করেছেন। একমত হওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

Check Also

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ নথি সই, চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x