Friday , 26 April 2024
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু সবসময় সহায়হীন মানুষের পাশে দাঁড়াতেন: ড.কলিমউল্লাহ

২১, অক্টোবর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪৪৫তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন মালদ্বীপ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড.জেবউননেসা এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কুষ্টিয়া থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও শিল্প উদ্যোক্তা আমাতুন নূর শিল্পী ও পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র ইনস্টিটিউট অফ লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন,বঙ্গবন্ধু সবসময় সহায়হীন মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.জেবউননেসা বলেন,দেশের অন্যান্য সম্ভাবনাময় সেক্টরের মতো পর্যটন শিল্প নিয়েও বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধু দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা ঘুরেছেন। তিনি এই দেশের অপার সম্ভাবনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বারবার। ড.জেবউননেসা আরো বলেন, বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ সম্ভাবনাময় খাত থাকা সত্ত্বেও কেন আজ পর্যন্ত পর্যটন খাত বিকশিত হতে পারেনি সেটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি মালদ্বীপ সফরকালীন তার লব্ধ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং বাংলাদেশের পর্যটনের সঙ্গে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পর্যটন খাতের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মালদ্বীপ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বছরে চারশো কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে প্রেরণ করছে এক লক্ষ বিশ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক । অথচ এদিকে কারোরই কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারকালে তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন,যেকোন মূল্যে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে এবং দুর্নীতিবাজদের রুখে দিতে হবে।

আর্জিনা খানম বলেন,উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্ন পূরণের পথ ধরে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন। নির্মম ঘাতকের বুলেট তাঁর সেই পথচলাকে রুদ্ধ করে দিলেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তা থেকে মাঝখানে বিচ্যুত হয়েছিলো বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ ধরেই এগোচ্ছে প্রিয় বাংলাদেশ।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন।
আমাতুন নূর বলেন,১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর দীর্ঘ দিনের সংগ্রাম, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের পথ ধরেই বাঙালী জাতি বিজয় অর্জন করে।

সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
খাদেমুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য যোগ্য নেতৃত্বদানকারী অসাধারণ এক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্বের কথা বারবার আলোচিত হচ্ছে।

 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যন্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।

Check Also

বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ থাইল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশের হাসপাতাল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x