Sunday , 5 May 2024
শিরোনাম

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি

মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি চলমান থাকায় বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে প্রশাসন সীমান্তবর্তী এলাকার ৩০০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। এছাড়া সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ১৯সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এসময় তিনি জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখেন।

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মো: তারিকুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যানে ওয়ান চাক, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ’সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার সকালে সীমান্তের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা পরিষদে প্রশাসনের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়াসহ বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানানো হবে।’

ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই বৈঠকে ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।

সীমান্ত থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সে সময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,‘স্থানীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে। তাদের নিরাপদ রাখতে যা করণীয় সবই করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা ২টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম এলাকায় দুটি গোলা পড়ে এবং ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে। তবে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাইন বিস্ফোরণ ও গুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

Check Also

চট্রগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন নির্মান কাজের উদ্বোধন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: আজ ০৫ মে রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x