ঢাকা , শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বনপাড়া পৌর বিএনপির নেতৃত্বে সরদার রফিকুল ইসলামকে ঘিরে জনগণের আশা ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স সদস্যদের, বিমানবন্দরের দায়িত্বে এপিবিএন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ইউপিইউ কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচিত বাংলাদেশ, প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন নওগাঁয় চার ভুয়া পুলিশ গ্রেফতার কুষ্টিয়ার খোকসায় নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা নিজ গ্রামে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে পৌঁছালো সাজেকে নিহত রিংকির মরদেহ রিয়াদে প্রবাস বাংলা ক্রিকেট লীগের শক্তিশালী টিম লক্ষ্মীপুর সিক্সাস এর জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন  শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব উপলক্ষে দীঘিনালা জোনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপা এনজেড আলিম মাদ্রাসার নবীন বরণ

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ৩ দফা দাবি অযৌক্তিক: বিশেষজ্ঞরা

ইয়াছির আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার

সম্প্রতি দেশে “প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন” ব্যানারে আন্দোলনরত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব দাবি যৌক্তিক নয় এবং বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক।

প্রথম দাবি ছিল, ১০ম গ্রেডে ১০০% কোটা রেখে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ১০ম গ্রেডে রয়েছে মেধা: ৯০%, মুক্তিযোদ্ধা কোটা: ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা: ১%, শারীরিক প্রতিবন্ধী: ১%। এর বাইরে আলাদা কোনো কোটা নেই। ১০ম গ্রেডে (সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার) নিয়োগে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ এই পোস্টে যে কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করলে আবেদন করতে পারবেন। অতএব, এ দাবি অবৈধ।

দ্বিতীয় দাবি ছিল, ১০ম গ্রেড থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৯ম গ্রেডে প্রমোশন দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি চাকরিতে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে প্রমোশন পাওয়ার সুযোগ আগে থেকেই রয়েছে। অনেকেই কর্মজীবনের ১৫-২০ বছর পর প্রমোশন পেয়েছেন। ফলে এ দাবিও অযৌক্তিক।

তৃতীয় দাবি ছিল, বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই সরকারী নিয়মে “ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার” নামে পদবী রয়েছে। এটি বৈধ উপাধি। ফলে এ বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি অবান্তর।

সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, আন্দোলনকারীদের উত্থাপিত তিনটি দাবি আইনি কাঠামো, সরকারি নীতিমালা এবং বাস্তব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অবাস্তব দাবির কারণে প্রকৌশলী সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৮:৪৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
৬৪৪ Time View

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ৩ দফা দাবি অযৌক্তিক: বিশেষজ্ঞরা

আপডেটের সময় : ০৮:৪৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

সম্প্রতি দেশে “প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন” ব্যানারে আন্দোলনরত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব দাবি যৌক্তিক নয় এবং বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক।

প্রথম দাবি ছিল, ১০ম গ্রেডে ১০০% কোটা রেখে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ১০ম গ্রেডে রয়েছে মেধা: ৯০%, মুক্তিযোদ্ধা কোটা: ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা: ১%, শারীরিক প্রতিবন্ধী: ১%। এর বাইরে আলাদা কোনো কোটা নেই। ১০ম গ্রেডে (সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার) নিয়োগে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ এই পোস্টে যে কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করলে আবেদন করতে পারবেন। অতএব, এ দাবি অবৈধ।

দ্বিতীয় দাবি ছিল, ১০ম গ্রেড থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৯ম গ্রেডে প্রমোশন দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি চাকরিতে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে প্রমোশন পাওয়ার সুযোগ আগে থেকেই রয়েছে। অনেকেই কর্মজীবনের ১৫-২০ বছর পর প্রমোশন পেয়েছেন। ফলে এ দাবিও অযৌক্তিক।

তৃতীয় দাবি ছিল, বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই সরকারী নিয়মে “ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার” নামে পদবী রয়েছে। এটি বৈধ উপাধি। ফলে এ বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি অবান্তর।

সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, আন্দোলনকারীদের উত্থাপিত তিনটি দাবি আইনি কাঠামো, সরকারি নীতিমালা এবং বাস্তব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অবাস্তব দাবির কারণে প্রকৌশলী সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।