ঢাকা , বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্যাংকে জমানো টাকায় হজ করলে আদায় হবে কি? এনসিপির ‘শাপলা কলি’র স্কেচ যুক্ত করল ইসি হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশের দেওয়া চিঠি পরীক্ষা করে দেখছে ভারত: রণধীর জয়সওয়াল হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি সোনা তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও: দুদক রাণীশংকৈলে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও  প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত। গণভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসি, কার্যক্রম জোরদার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, তবে ভোটের আগে উন্নতি হবে: সিইসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ও সূচি প্রকাশ ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে কড়াইল বস্তি, নিয়ন্ত্রণে ১৯ ইউনিট সিনহা হত্যা মামলায় বিভ্রান্তি ছড়ানো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন

ব্যাংকে জমানো টাকায় হজ করলে আদায় হবে কি?

সাংবাদিক

হ্যাঁ, ব্যাংকে টাকা জমিয়ে সেই টাকায় হজ করলে হজ আদায় হবে এবং তা বৈধ। যেহেতু টাকা হালাল উপায়ে উপার্জন করা হয়েছে এবং হজ করার সামর্থ্য তৈরি হয়েছে, তাই এই টাকায় হজ করা জায়েজ।

তবে ব্যাংকে টাকা জমিয়ে হজ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেননি। মানুষের স্বাভাবিক গতিতে যখন হজ করার সামর্থ্য হবে তখন সে ব্যক্তি হজ করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) হজ করার উদ্দেশে ধারাবাহিকভাবে টাকা জমানোর কথা বলেননি। বরং যার শারীরিকভাবে এবং আর্থিকভাবে হজ করার সামর্থ্য হবে তাকেই হজ করতে হবে, একথা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন। হজের ব্যাপারে কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—

وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا

‘আর মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশে ওই ঘরের হজ করা তার জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৯৭)

হজ করার জন্য টাকা জমা করা, এটি সঠিক চেতনা নয়। যদি আপনার অর্থ থাকে তাহলে আপনি হজ করবেন। আর যদি আপনার অর্থ না থাকে তাহলে আপনি হজ করবেন না। আপনি কষ্ট করে টাকা জমিয়ে হজ করবেন- এই বিধান রাসুল (সা.) আমাদের জন্য কোথাও দেননি। আপনার সামর্থ্য নেই, এজন্য আল্লাহ আপনার কাছে ব্যাপারটি সহজ করে দিয়েছেন। আপনি নিজের ওপর হজকে ফরজ করার জন্য টাকা জমাবেন না। কিন্তু যদি আল্লাহ মেহেরবানি করে আপনাকে টাকা দেন, তাহলে আপনি হজ করবেন।

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি আবেগপ্রবণ হয়ে কষ্ট করে টাকা জমিয়ে তারপর হজ করেন, তাহলে হজের জন্য টাকা জমানো তার জন্য নিষিদ্ধ নয়। আর যদি ওই টাকা দিয়ে তিনি হজ করেন, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই যে, কাজটি উত্তম হবে। তিনি এটা করতে পারবেন।

আরও কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য—

জাকাত: হজের জন্য জমা করা টাকার ওপর জাকাত দিতে হবে, যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ এক বছর জমা থাকে।

হজে যাওয়ার সামর্থ্য: হজ ফরজ হওয়ার জন্য শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া জরুরি। ব্যাংকে টাকা জমানোর উদ্দেশ্য যদি এই সামর্থ্য অর্জন করা হয়, তবে তা বৈধ।

বিকল্প ব্যবস্থা: যদি কেউ বদলি হজ করার জন্য টাকা জমা করে থাকে এবং পরবর্তীতে নিজে হজ করার সামর্থ্য অর্জন করে, তবে তাকে নিজের হজ আদায় করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
৫০২ Time View

ব্যাংকে জমানো টাকায় হজ করলে আদায় হবে কি?

আপডেটের সময় : ০৪:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

হ্যাঁ, ব্যাংকে টাকা জমিয়ে সেই টাকায় হজ করলে হজ আদায় হবে এবং তা বৈধ। যেহেতু টাকা হালাল উপায়ে উপার্জন করা হয়েছে এবং হজ করার সামর্থ্য তৈরি হয়েছে, তাই এই টাকায় হজ করা জায়েজ।

তবে ব্যাংকে টাকা জমিয়ে হজ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেননি। মানুষের স্বাভাবিক গতিতে যখন হজ করার সামর্থ্য হবে তখন সে ব্যক্তি হজ করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) হজ করার উদ্দেশে ধারাবাহিকভাবে টাকা জমানোর কথা বলেননি। বরং যার শারীরিকভাবে এবং আর্থিকভাবে হজ করার সামর্থ্য হবে তাকেই হজ করতে হবে, একথা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন। হজের ব্যাপারে কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—

وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا

‘আর মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশে ওই ঘরের হজ করা তার জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৯৭)

হজ করার জন্য টাকা জমা করা, এটি সঠিক চেতনা নয়। যদি আপনার অর্থ থাকে তাহলে আপনি হজ করবেন। আর যদি আপনার অর্থ না থাকে তাহলে আপনি হজ করবেন না। আপনি কষ্ট করে টাকা জমিয়ে হজ করবেন- এই বিধান রাসুল (সা.) আমাদের জন্য কোথাও দেননি। আপনার সামর্থ্য নেই, এজন্য আল্লাহ আপনার কাছে ব্যাপারটি সহজ করে দিয়েছেন। আপনি নিজের ওপর হজকে ফরজ করার জন্য টাকা জমাবেন না। কিন্তু যদি আল্লাহ মেহেরবানি করে আপনাকে টাকা দেন, তাহলে আপনি হজ করবেন।

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি আবেগপ্রবণ হয়ে কষ্ট করে টাকা জমিয়ে তারপর হজ করেন, তাহলে হজের জন্য টাকা জমানো তার জন্য নিষিদ্ধ নয়। আর যদি ওই টাকা দিয়ে তিনি হজ করেন, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই যে, কাজটি উত্তম হবে। তিনি এটা করতে পারবেন।

আরও কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য—

জাকাত: হজের জন্য জমা করা টাকার ওপর জাকাত দিতে হবে, যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ এক বছর জমা থাকে।

হজে যাওয়ার সামর্থ্য: হজ ফরজ হওয়ার জন্য শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া জরুরি। ব্যাংকে টাকা জমানোর উদ্দেশ্য যদি এই সামর্থ্য অর্জন করা হয়, তবে তা বৈধ।

বিকল্প ব্যবস্থা: যদি কেউ বদলি হজ করার জন্য টাকা জমা করে থাকে এবং পরবর্তীতে নিজে হজ করার সামর্থ্য অর্জন করে, তবে তাকে নিজের হজ আদায় করতে হবে।