Sunday , 5 May 2024
শিরোনাম

মাগুরায় শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্যার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা

মাগুরায় শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্যার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ।

রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রণব কুমার দাস মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার বাদী ওই গৃহিণীর বাড়ি শালিখা উপজেলায়। অন্যদিকে চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্যা বামনখালি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, পরিবারের অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান আবদুল হালিম দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে যাওয়া আসা করেন এবং নানা প্রলোভন, ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আগের স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। কিন্তু পরে তাকে বিয়ে করেননি। উপরন্তু সর্বশেষ ১৬ জুলাই শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান। রোববার আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

আদালতে মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী মির্জা হাফিজ বলেন, মামলাটি থানায় নথিভুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করা হলেও মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ওই গৃহিণীকে ধর্ষণ করেছেন- এমন ভিডিও এবং স্থিরচিত্র বাদীর কাছ থেকে পাওয়া গেছে; যেটি মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত আছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে রোববার আদালতে মামলাটি দায়েরের পর একটি টিনের চালার ঘরের মধ্যে ওই গৃহবধূ এবং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিমকে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চেয়ারম্যানের কক্ষে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার একটি স্থিরচিত্রও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উভয়ের মধ্যকার স্বাভাবিক সম্পর্ক হিসেবে দেখা যায়।

ধর্ষণ মামলার বিষয়ে মামলাটির বাদী বলেন, চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছে এসেছেন। মোবাইলে ছবি তুলে ভয় দেখিয়ে মেলামেশা করেছেন। প্রাণভয়ে কখনো বাধা দিতে পারিনি। ঈদের আগে আমার স্বামীকেও পরিষদে ডেকে নিয়ে মারধর করেছেন। দিনে দিনে আমার ও পরিবারের ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে বিধায় মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবদুল হালিম। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাবন্দি নেতা কাজী সালিমুল হক কামালের ভাই সোনা কাজী দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এসব মামলা সাজানো হতে পারে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই নারী একজন মেম্বারের স্ত্রী। বিভিন্ন সময় আমার অফিসে এসে পাশে বসেছেন। কিন্তু আমি পুরোনো আমলের মানুষ। কীভাবে নোংরা ভিডিও তৈরি করা হয়েছে আমার জানা নেই।

Check Also

ক্লাস শুরু রোববার: মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সারা দেশে রোববার (৫ মে) থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x