Wednesday , 8 May 2024
শিরোনাম

মেঝেতে পড়ে ছিল শিক্ষিকার মরদেহ, গলায় ছিল দাগ

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিক্ষিকার মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বামী মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ বলেছেন, মরদেহের গলায় দাগ রয়েছে। তবে তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

এর আগে রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোরে বলারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্লাট থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভাড়াবাড়ির বাসিন্দারা বলেছেন, ওই শিক্ষিকার স্বামী মামুন রোববার ভোরে তাদেরকে জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। পরে লোকজন তার বাসায় গিয়ে মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাদের সন্দেহ হওয়ায় মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে তারা পুলিশে খবর দেন।

মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ। তিনি বলেন, তদন্ত শেষে ও মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। ছয় মাস প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা।

মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এই বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও শিক্ষিকার পরিবার মেনে নেয়নি। তাদের নিয়ে সামাজিকভাবে ট্রল হলেও সেসব তোয়াক্কা না করে নতুন সংসারে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মাত্র ছয় মাসের ‘সুখের সংসারের পর আজ লাশ উদ্ধার হলো শিক্ষিকার।

Check Also

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x