সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পেলেন যুগান্তরের মোসাদ্দেকুর রহমান
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাহসী অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোসাদ্দেকুর রহমান।
২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাহসী ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য এই স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে তথ্য ভবনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা প্রদান করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাউসার আহম্মেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামূল কবীর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) ফারুক ওয়াসিফ প্রমুখ।
মোসাদ্দেকুর রহমান জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ১৫ জুলাই রাতে দৈনিক যুগান্তরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সে সময় তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
সেসময়কার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “যখন জাতির বিবেকেরা নীরব ছিলো, তখন ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা লাঠিপেটা খেয়ে, গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, পেট্রোল বোমার মুখে দাঁড়িয়েও প্রতিবাদের চিত্র তুলে ধরেছেন। আন্দোলনের একটা পর্যায়ে আন্দোলনকারী আর সাংবাদিকদের মাঝে পার্থক্য করা যায় নাই, কারণ ছাত্রলীগ এবং পুলিশ আমাদেরকে মারার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করে নাই। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সমানতালে মার খেয়েছি, আহত হয়েছি। ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের হামলায় আমি নিজে আহত হয়েছি, গভীর রাতের সশস্ত্র হামলায় দৈনিক বনিক বার্তার প্রতিনিধি মেহেদী মামুন, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি আব্দুর রহমান সার্জিল একুশে ইটিভির প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ, জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ওয়াজহাতুল ইসলামসহ প্রায় একডজন সাংবাদিক পুলিশের গুলিতে আহত হয়। অথচ অভ্যুত্থানের পর তাদের নিয়ে কেউ কথা বলেনি, কেউ পাশে দাঁড়ায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা দেখেছি অন্যান্য সংস্কার কমিশনের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিলো। সেখানে আমাদের মতামত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটা প্রস্তাবনাও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয় নাই। আমরা স্বীকৃতি চাই না, চাই ন্যূনতম বেতন স্কেল, ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও পেশাগত সুযোগ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী ও আহত সাংবাদিকদের সম্মানিত করার জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”