Wednesday , 15 May 2024
শিরোনাম

২৭ হাজার বিদেশি কর্মী নেবে হংকং

এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হংকং ভবন নির্মাণ, বিমান পরিষেবা বিভিন্ন খাতে ২৭ হাজার বিদেশি শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হংকংয়ের সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোটার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে কোটার ভিত্তিতে দক্ষ শ্রমিকদের নেওয়া হবে। পরে একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই উপদ্বীপের শ্রমিক ও শ্রমকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ক্রিস সুন বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি এবং অপরিহার্য অংশ হলো শ্রমিকরা। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন খাতে গুরুতর শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি কমে গেছে। এই কারণেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও জানান, শ্রমিক ও শ্রমকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ সচিব জন লি’র নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি ইতোমধ্যে কোন কোন খাতে সংখ্যক শ্রমিক নেয়া হবে— সে সম্পর্কিত একটি খসড়া পরিকল্পনাও প্রস্তুত করেছে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী—ভবন নির্মাণ খাতে ১২ হাজার, বিমান পরিষেবা খাতে ৬ হাজার ৩০০ ও অন্যান্য বিভিন্ন খাতে আরও অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রিস সুন।

করোনা মহামারি সম্পর্কিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকেই শ্রমিক সংকটে ভুগছে হংকংয়ের বাণিজ্য ও শিল্পখাত। বিদ্যমান এই সংকট দূর করতে এর আগে হংকংয়ের সরকারকে অভিবাসন নীতিতে সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মহামারিপূর্ব পরিস্থিতে হংকংয়ের বিমান পরিষেবা খাতের বিভিন্ন শাখায় যত সংখ্যক কর্মী কর্মরত ছিল, তার তুলনায় ৩২ শতাংশ কম কর্মী নিয়ে চলতি ২০২৩ সাল শুরু করেছে স্বায়ত্বশাসিত এই উপদ্বীপ ভূখণ্ড। সবচেয়ে বেশি কর্মীসংকট চলছে যাত্রী চেক-ইন, ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং এবং ক্যাটারিং বিভাগে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাই মাস থেকে হংকংয়ে আসতে আগ্রহী শ্রমিকদের আবেদন গ্রহণ করা শুরু করবে দেশটির সরকার। তারপর আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হবে চুড়ান্তভাবে বাছাইকৃত শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।

সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই শ্রমিকদের একটি বড় যোগান চীন থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : গালফ নিউজ

Check Also

ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x