ঢাকা , শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন: প্রেস সচিব নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপি’র কর্মীদের লিফলেট বিতরণ ৭ গোলের ম্যাচে হংকংয়ের কাছে বাংলাদেশের হার রাণীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত। ফরিদগঞ্জে আলহাজ্ব এম এ হান্নানকে ধানের শীষের প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে উপজেলা ও পৌর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের গণমিছিল জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ ঘোষণা, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা দেবিদ্বারে মাদক সেবনের দায়ে দীপংকরের কারাদণ্ড চানখারপুল হত্যাযজ্ঞ: সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আশুলিয়ায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্প সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও একটি বিদেশি অত্যাধুনিক শট গান সহ ৩ জনকে আটক করেছে RAW জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে : এম এ মালিক

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি

সাংবাদিক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণে পৃথক একটি অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শিরোনামে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত পূর্বের বিশেষ সেল বিলুপ্ত হয়েছে, যা এত দিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নতুন এই অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি অভ্যুত্থানের আদর্শ ও ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকায় অধিদপ্তরের সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে, তবে প্রয়োজনে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

এ অধিদপ্তর শহীদদের তালিকা ও ডেটাবেজ সংরক্ষণ করবে এবং সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের জন্য দেশি–বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের একটি তহবিল থাকবে, যার নাম হবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন তহবিল’। এতে সরকারি অনুদান ছাড়াও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুদান গ্রহণযোগ্য হবে।

তাছাড়া, অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালাতে পারবে। শহীদদের গণকবর ও সমাধি সংরক্ষণ এবং স্মৃতিফলক স্থাপন করাও তাদের দায়িত্বের আওতায় থাকবে।

অধ্যাদেশে প্রতারণার আশঙ্কা রোধে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শহীদ পরিবার বা আহত যোদ্ধা পরিচয়ে সুবিধা নিতে চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা গৃহীত সুবিধার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করা হবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৬৫০ Time View

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি

আপডেটের সময় : ০৪:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণে পৃথক একটি অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শিরোনামে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত পূর্বের বিশেষ সেল বিলুপ্ত হয়েছে, যা এত দিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নতুন এই অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি অভ্যুত্থানের আদর্শ ও ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকায় অধিদপ্তরের সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে, তবে প্রয়োজনে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

এ অধিদপ্তর শহীদদের তালিকা ও ডেটাবেজ সংরক্ষণ করবে এবং সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের জন্য দেশি–বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের একটি তহবিল থাকবে, যার নাম হবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন তহবিল’। এতে সরকারি অনুদান ছাড়াও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুদান গ্রহণযোগ্য হবে।

তাছাড়া, অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালাতে পারবে। শহীদদের গণকবর ও সমাধি সংরক্ষণ এবং স্মৃতিফলক স্থাপন করাও তাদের দায়িত্বের আওতায় থাকবে।

অধ্যাদেশে প্রতারণার আশঙ্কা রোধে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শহীদ পরিবার বা আহত যোদ্ধা পরিচয়ে সুবিধা নিতে চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা গৃহীত সুবিধার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করা হবে।