ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ভোলায় এক তরুণীর ফাঁদে যুবক। বিয়ে করেও নিস্তার মিলেনি

সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার।।

ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ মামলা, মোটা অংকের টাকা আদায় ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে শান্তা নামের এক তরণীর বিরুদ্ধে।

শান্তা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার সংলগ্ম মুদি দোকানদার মাইনউদ্দিনের মেয়ে।

অভিযোগ রয়েছে শান্তা অনলাইনে বিভিন্ন যুবকদের টার্গেট করে প্রথমে প্রমের ফাঁদে ফেলে পরবর্তীতে তাকে ব্লাকমেইল করে টাকা আদায় করেন। চাহিদা মত টাকা না দিলেই করেন ধর্ষণ মামলা।
বিভিন্ন রাজনীতি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা থাকায় শান্তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।

শান্তার প্রতিবেশী পারভেজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শান্তার পেশাই হলো মাদক ও বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে ক্ষমতাবান লোকদের বশ করা। শান্তা ও তার মা একদিন বাসায় এক লোক নিয়ে আসে, বলে এটা বয়ফ্রেন্ড, এটা আমার বন্ধু, এটা ভাইয়ের বন্ধু অথচ ওর ভাই মারা গেছে আরো অনেক আগে।
পারভেজ আরো জানান, এ শান্তার এসব অবৈধ ব্যবসার কারনে আমরা মেয়ে-ছেলে বিয়ে দিতে পারি না। মানুষ বলে পতিতা শান্তার বাড়ী।

মেহেদী নামের এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নামে ধর্ষণ মামলা করে আবার ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবুও মামলা তুলেনি আবার তাকে বিয়ের চাপ দিয়ে বিয়ে করেছে। এখন সেই স্বামী রেখেও এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে বলেও জানান পারভেজ।
ভুক্তভোগী মেহেদী বলেন, আমি ওর (শান্তা) প্রতারণার শিকার, আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েও মামলা তুলেনি। পরে আবার বিয়ের চাপ দিয়েছে। বিয়েও করলাম কিন্তু তার অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে পারলাম না।

শান্তা আমাকে না জানিয়ে অবাধে ছেলেদের সাথে মেলা মেশা ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়।
রাতের পর রাত অন্যত্রে থাকে। ভোলা শহরে তার বন্ধুদের অভাব নেই। সর্বশেষ কিছুদিন পূর্বে ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় তার কথিত এক বান্ধবীর বাসায় রাত কাটায়। যে বান্ধবীর ভাইয়ের সাথেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছে সে ছবি আছে।
শান্তা তার মায়ের প্রশয়ে এসব করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে শান্তা বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে সমাজে ছোট্ট করতে চায়। মেহেদী আমার স্বামী তার নামে আমি মামলা করেছি এটা সঠিক।
বিভিন্ন ছেলেদের সাথে ছবি ও অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে শান্তা জানান, তারা কেউ আমার বন্ধু, কেউ আমার মরহুম ভাইয়ের বন্ধু, কেউ আমার বোনের দেবর, কেউ বা খালাতো ভাই।
তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছে ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ জানান. শান্তার বিরুদ্ধে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:২৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
৫৯৬ Time View

ভোলায় এক তরুণীর ফাঁদে যুবক। বিয়ে করেও নিস্তার মিলেনি

আপডেটের সময় : ০৩:২৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।

ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ মামলা, মোটা অংকের টাকা আদায় ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে শান্তা নামের এক তরণীর বিরুদ্ধে।

শান্তা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার সংলগ্ম মুদি দোকানদার মাইনউদ্দিনের মেয়ে।

অভিযোগ রয়েছে শান্তা অনলাইনে বিভিন্ন যুবকদের টার্গেট করে প্রথমে প্রমের ফাঁদে ফেলে পরবর্তীতে তাকে ব্লাকমেইল করে টাকা আদায় করেন। চাহিদা মত টাকা না দিলেই করেন ধর্ষণ মামলা।
বিভিন্ন রাজনীতি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা থাকায় শান্তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।

শান্তার প্রতিবেশী পারভেজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শান্তার পেশাই হলো মাদক ও বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে ক্ষমতাবান লোকদের বশ করা। শান্তা ও তার মা একদিন বাসায় এক লোক নিয়ে আসে, বলে এটা বয়ফ্রেন্ড, এটা আমার বন্ধু, এটা ভাইয়ের বন্ধু অথচ ওর ভাই মারা গেছে আরো অনেক আগে।
পারভেজ আরো জানান, এ শান্তার এসব অবৈধ ব্যবসার কারনে আমরা মেয়ে-ছেলে বিয়ে দিতে পারি না। মানুষ বলে পতিতা শান্তার বাড়ী।

মেহেদী নামের এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নামে ধর্ষণ মামলা করে আবার ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবুও মামলা তুলেনি আবার তাকে বিয়ের চাপ দিয়ে বিয়ে করেছে। এখন সেই স্বামী রেখেও এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে বলেও জানান পারভেজ।
ভুক্তভোগী মেহেদী বলেন, আমি ওর (শান্তা) প্রতারণার শিকার, আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েও মামলা তুলেনি। পরে আবার বিয়ের চাপ দিয়েছে। বিয়েও করলাম কিন্তু তার অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে পারলাম না।

শান্তা আমাকে না জানিয়ে অবাধে ছেলেদের সাথে মেলা মেশা ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়।
রাতের পর রাত অন্যত্রে থাকে। ভোলা শহরে তার বন্ধুদের অভাব নেই। সর্বশেষ কিছুদিন পূর্বে ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় তার কথিত এক বান্ধবীর বাসায় রাত কাটায়। যে বান্ধবীর ভাইয়ের সাথেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছে সে ছবি আছে।
শান্তা তার মায়ের প্রশয়ে এসব করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে শান্তা বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে সমাজে ছোট্ট করতে চায়। মেহেদী আমার স্বামী তার নামে আমি মামলা করেছি এটা সঠিক।
বিভিন্ন ছেলেদের সাথে ছবি ও অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে শান্তা জানান, তারা কেউ আমার বন্ধু, কেউ আমার মরহুম ভাইয়ের বন্ধু, কেউ আমার বোনের দেবর, কেউ বা খালাতো ভাই।
তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছে ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ জানান. শান্তার বিরুদ্ধে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।