স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়ে যাব। কিন্তু তাদের বীরত্বগাথা ইতিহাস থেকে যাবে। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যারিকেড একটি বীরত্বের ইতিহাস।
সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড উদযাপন জাতীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬ দফা আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন তাকে রুখে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক আগরতলা মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলার বিরুদ্ধে আমরা তখন ১১ দফা আন্দোলন শুরু করি। ওই সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের অনেক সাপোর্ট দিতেন। ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার আগে বঙ্গমাতা তাকে বলেছিলেন, তুমি এতদিন ধরে যা বলতে চেয়েছ, সেগুলো সব মন খুলে বলবে। ভাষণের দিনে মঞ্চে ওঠার আগে তাকে অনেক কাগজ দেওয়া হয়েছে। তিনি সেসব কিছুই নেননি। নিজের মতো করে ভাষণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনেকে ধারণা করেছিল ৭ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। কিন্তু দূরদর্শিতার প্রমাণ দেখিয়ে তিনি সেটা করেননি। তিনি শেষ পর্যন্ত সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন। যখন বুঝলেন যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী, তখন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। তিনি তার আগেই আমাদের বার্তা দিয়েছিলেন, আমরা সে বার্তা সবখানেই পৌঁছে দিয়েছি।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ২৫ মার্চে আমাদের পরিকল্পনা ছিল একটা পরিখা খনন করবার। যখন দেখলাম যে সেটা সম্ভব না, তখন আমরা বিশাল সব কড়াই গাছগুলো কাটলাম। গাছ কাটার সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। তখন পুরো এলাকা ব্ল্যাকআউট হয়ে যায়। একটা বিষয়- সেই ব্যারিকেডের দিন পুলিশ আমাদের সঙ্গে ছিল। হাবিব ব্যাংকের ছাদ থেকে দুইজন পুলিশ পাকিস্তানিদের দিকে ফায়ার করে। ঠিক তখনই পাকিস্তানিরা ফায়ার ওপেন করে। তাদের গোলার মুখে আমরা বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি দাবি ছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং জয় বাংলাকে রাষ্ট্রীয় স্লোগান করা। দাবিগুলো আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে।