আজকে বিদেশের বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্র বাংলাদেশকে বাহবা দিচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীচক্র চায় বাংলাদেশ যেন সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হয় সেজন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার, বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন তার পিতা এদেশের জন্য জেল-জুলুম খেটেছেন, এদেশের মহান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন ২৫ মার্চ এর রাতে। তার ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সুতরাং তার বাবার সংগ্রাম, এদেশের লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম এবং তাঁর নিজের সংগ্রামের মাধ্যমে আজকে এই বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা কখনই চায় না, কোন অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করুক। এটা কেউ করতেও পারবে না। শেখ হাসিনা এদেশকে একটা সফল, সার্থক, মর্যাদাশীল ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবেন। সেক্ষেত্রে আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীদেরও অনেক কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এদেশকে সমৃদ্ধশালী এবং উন্নতশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যুবলীগই ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আজ ৩ এপ্রিল, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় আমরা যেন সংযম, ধৈর্য্য ও শক্তির সাথে এই মাসটা অতিবাহিত করি। আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মসমালোচনা করারও মাস এটা এবং নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া বা আত্মত্যাগের মাসও এটা। আমরা প্রতি বছরই রমজান মাসে মাসব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত ভাই-বোনদের সাথে ইফতার ভাগাভাগি করি। তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করি। আপনারা জানেন যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চাচ্ছে এবং করছে। তাদের একটা বড় ইস্যু হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে। আপনারা একটু যাচাই বাছাই করে দেখেন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে মূল হোতা কারা। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা তাদের অতীত ইতিহাস কি তাহলে বুঝতে পারবেন এর পিছনে বিএনপির হাত আছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামাত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আমরা যুবলীগ বলতে চাই আমরা সবসময় নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের সংগঠন। এই সংগঠনটি কোন ক্যান্টনমেন্ট বা সামরিক জান্তা থেকে জন্ম হয়নি। এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে গণমানুষের কথা বলতে বলতে, মানুষের অধিকার আদায়, সংগ্রামের মাধ্যমে। সুতরাং যখনই আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন মান উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তখনই এদেশকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারি বিভিন্ন বিদেশী মহল কখনই চায় নাই এদেশের মেহনতি, দুঃখী মানুষ শান্তিতে থাকুক, ভালভাবে বেঁচে থাকুক, আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। ভূ-রাজনৈতিক কারণে এটা কখনো তারা চায়নি। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা কোন ছোট ঘটনা নয়, আমরা দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি। কিন্তু আমরা মর্যাদাশীল দেশ। দারিদ্রের হার যেখানে ৪০% ছিল, সেখানে হ্রাস পেয়ে ২০% নেমে এসেছে। আজকে মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়ণসহ প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-রমজান মাস পবিত্র মাস। এই পবিত্র রমজান মাসে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী যেন সংযমের সাথে কাজ করেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। আমাদের প্রিয়নেত্রী যেভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা যেন সেভাবেই কাজ করি। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন আপনার প্রতিবেশির প্রতি, কেউ যদি কষ্টে থাকে তাকে সাহায্য করবেন। আপনারা জানেন এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীরা এই রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আপনারা দেখবেন অসাধু ব্যবসায়ীদের অতীত ইতিহাস, তারা জামাত-বিএনপির সাথে জড়িত। যারা এই রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে তাদেরকে ব্যবসায়ী বলা যায় না। তারা এই সমাজের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। তারা সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। আপনারা তাদেরকে প্রতিহত করুন। আমাদের প্রিয় নেত্রীর উপর আল্লাহর রহমত আছে বলেই দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি এখন কিছুটা কম। বৈশ্বিক সমস্যার কারণে দ্রব্যমূল্যের যে বৃদ্ধি তা তাড়াতাড়িই কমে আসবে এবং সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন-এই যুবলীগ মনবতার যুবলীগ, এই যুবলীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। এখানে কোন দখলদার, চাঁদাবাজের স্থান হবে না, যদি কেউ যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মামুনুর রশীদ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাঃ বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মোঃ মহি উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা সম্পাদক এ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মাহফুজুর রহমান উজ্জল, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান উজ্জল, মির্জা মোঃ নাসিউল আলম শুভ্র, মোঃ রাজু আহমেদ, মোঃ আব্দুর রহমান জীবন, নাজমুল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মোঃ কামরুল হাসান লিংকন, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ মনিরুজ্জামান পিন্টু, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, জিএম গাফফার হোসেন, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এ্যাড. মোঃ শওকত হায়াত, মানিক লাল ঘোষ, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকার, এ বি এম আরিফ হোসেন, ডাঃ মোঃ আওরঙ্গজেব আরু, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, মোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জল।