Monday , 6 May 2024
শিরোনাম

সৌদি প্রবাসীরা ৪২০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন

সৌদি প্রতিনিধি: সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো প্রায় এক হাজার ৯২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শুধুমাত্র সৌদি আরব প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার।

বুধবার (১৫ জুন) সৌদি প্রবাসীদের উদ্দেশ্য এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সে সময় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের ন্যায় আমরাও আজ এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের চাহিদা মেটাতে আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো প্রায় এক হাজার ৯২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শুধুমাত্র সৌদি আরব প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে সরকার ইতিপূর্বে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রবাসী যে কেউ এখন থেকে এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে সঙ্গে আরও দুই হাজার ৫০০ টাকা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। ইতোপূর্বে ৫ লাখের বেশি টাকা পাঠালে প্রণোদনার টাকা পেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অংকের টাকা পাঠানো হোক না কেন, কোনো কাগজপত্র জমা দেওয়া ছাড়াই প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা ডলার রিজার্ভে জমা হয়। যা দিয়ে দেশের আমদানি ব্যয় ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো হয়। দেশের অর্থনীতি গতিশীল হয়, শক্তিশালী হয়।

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে আপনার পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে আপনার অবদান নিশ্চিত হয়। এছাড়া দেশে আপনার আয় বৈধ বলে বিবেচিত হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

Check Also

‘সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে’

সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x