Sunday , 5 May 2024
শিরোনাম

১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গবন্ধু :প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানিরা বাঙালির মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপের পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা নিয়ে নিয়েছিল, সেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে আর থাকব না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই কিন্তু স্বাধীনতা। একজন নেতা নিজের জীবনের সব বিসর্জন দিয়ে একটি জাতির জন্য, দিনের পর দিন অধিকার বঞ্চিত-শোষিত মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। জেলজুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছেন। যে লক্ষ্য তিনি স্থির করেছিলেন সেটি সামনে রেখে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “তিনি চুয়ান্ন সালে নির্বাচনও করেছেন, ছাপ্পান্ন সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। নিয়ম মেনেই কিন্তু এগিয়ে গেছেন। একটি লক্ষ্য স্থির রেখে। যেটা কখনও তিনি মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা বা তাদের সংগঠিত করা, ঐক্যবদ্ধ করা, এটা একটি কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে যান।”

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কাজটা তিনি করতে গেলেও করতে দেওয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কাজেই এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।”

তিনি বলেন, “যারা জয় বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে যারা প্রেরণা বলে মনে করে না, তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতি চায় না। তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করবার জন্য, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।”

Check Also

‘মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় দেখে না’

বাংলাদেশি হত্যার কী জবাব দেবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো? তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে এর জবাব চেয়েছেন। তিনি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x