ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, রাজধানী বিজয়নগরের কালর্ভাট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণাকালে দুর্বৃত্তদের ছোড়াগুলিতে আহত হন।
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হাদির মতো আমাদের জীবনেরও শঙ্কা রয়েছে, আমাদেরকেও মেরে ফেলা হতে পারে, তবে আমরা জীবন দিয়ে লড়াই করে যেতে চাই।
এক ফেসবুক পোস্টে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করা হলো। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওসমান হাদি। তার মোবাইল নম্বরে বিদেশি নম্বর থেকে কল করে ও টেক্সট দিয়ে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
ওইদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ওসমান হাদি লেখেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে।
তিনি লেখেন, যার সামারি হলো—আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে। এবং আমাকে হত্যা করবে।
তিনি আরও লেখেন, ১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ইনসাফের এই লড়াই হতে আমি এক চুলও নড়বো না, ইনশাআল্লাহ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র লেখেন, এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারো আবরার জন্মেছে এদেশে। এক হাদিকে হত্যা করা হলে তাওহিদের এই জমিনে আল্লাহ লক্ষ হাদি তৈরি করে দেবেন। স্বাধীনতার এই ক্রুদ্ধ স্বরকে কোনোদিন রুদ্ধ করা যাবে না।
তিনি লেখেন, লড়াইয়ের ময়দানে আমি আমার আল্লাহর কাছে আরও সাহস ও শক্তি চাই। আরশওয়ালার কাছে আমি হাসিমুখে শহিদি মৃত্যু চাই।
পরিশেষে হাদি লেখেন, আমার পরিবার ও আমার কলিজার সহযোদ্ধাদের আল্লাহতায়ালার কুদরতি কদমে সোপর্দ করলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। হাসবিয়াল্লাহ।

























