বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচনের নামে যেই সংসদের জন্ম দিয়েছেন, আগামীতে দেশে জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হলে জনগণের কাছে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারি নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রম্নক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারাহেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের দুর্বিষহ উৎপীড়ণের সাথেই কেবল শেখ হাসিনার কারাগারের মিল পাওয়া যায়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ ডামী, কেউ মনোনীত, কেউ নৌকা, কেউ ভোট জমাতে হায়ারকৃত সবাই তার প্রার্থী। কোন আসনে কে পাশ, কে ফেল সব তার হাতে পূর্বনির্ধারিত। ২৮ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ ভোট কাউন্ট করার ফর্মূলাও তার। যদিও ভোটার উপস্থিতি ছিল মাইক্রোস্কোপিক। সুতরাং শেখ হাসিনার এক হাতের মুঠোয় যে সবকিছু তা প্রমাণ করে বিশ্বে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের নতুন মডেল হয়ে উঠেছেন তিনি।