Friday , 10 May 2024
শিরোনাম

তামাকমুক্ত দেশ গড়তে প্রয়োজন ধূমপানের ক্ষতিহ্রাস কৌশল

২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে নিকোটিন-নির্ভর বিকল্প পণ্যসমূহ ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাজারজাতকরণের সুপারিশ করেছেন দেশি ও আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতিপ্রণেতারা। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও ধূমপানের ক্ষতি হ্রাসের জন্য প্রচলিত সিগারেটের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দেন গবেষকরা।

শনিবার রাজধানীতে তামাকের ক্ষতি হ্রাসকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে তারা বলেন, তামাকের ক্ষতি হ্রাস ধারণাটি প্রাপ্ত বয়স্ক ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়াতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল উপায়। এর মাধ্যমে যারা ধূমপান ছাড়তে আগ্রহী, তারা প্রচলিত সিগারেটের বিকল্প হিসেবে তুলনামূলক কম ক্ষতিকর পণ্য (রিডিউসড রিস্ক প্রোডাক্ট) ব্যবহার করে। এই সকল পণ্য থেকে প্রচলিত সিগারেটের মতো টার তৈরী হয় না। যার ফলে এই পণ্যগুলো প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর।

সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অর্থ, শিল্প, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণয়নের অন্যতম পথিকৃৎ ডা. ডেরেক ইয়াক বাংলাদেশের এফসিটিসি তৈরীর পেছনে অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ক্ষতিহ্রাস কৌশল আগে থেকেই এফসিটিসির অংশ ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বাংলাদেশে হয়নি। বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য ক্ষতিহ্রাস কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়ার। এতে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।

Check Also

প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন বিমান বাহিনীর সেই পাইলট

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের পাইলট বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ ও উইং কমান্ডার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x